বড় পরিসরে ৩২ দলের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামিকে আটকে দিয়েছে আল আহলী। বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মিশরের আল আহলীর সাথে গোলশূণ্য ড্র করে মিশন শুরু করেছে ইন্টার মিয়ামি। শুরু থেকেই এই ম্যাচের টিকেট বিক্রিতে যে অনাগ্রহের কথা বলেছিলো আয়োজকরা তা ভুল প্রমানিত করে এই ম্যাচে মাঠে হাজির হয়েছিলো ৬০ হাজারেরও বেশী দর্শক। সেই দর্শকেরা অবশ্য গোল দেখতে পেলেন না একটিও। গোলশূন্য ড্রয়ে শুরু হলো ক্লাব বিশ্বকাপ। গোল না হলেও অবশ্য দর্শকদের বিনোদনের উপকরণ ছিল যথেষ্টই। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছে বেশ কিছু। কিন্তু বাঁধার দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান দুই গোলরক্ষক।
নিজেদের মাঠে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের মন ভরাতে পারেননি মিয়ামির আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। বরং মেসিকে ছাপিয়ে ম্যাচের তারকা হয়েছেন আরেক আর্জেন্টাইন মিয়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। হার্ডরক স্টেডিয়ামে গোল করার সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়েছিল আল আহলিই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু আল আহলীর ফরোয়ার্ড মাহমুদ আহমেদ ইব্রাহিম হাসানের শট ফিরিয়ে দেন মিয়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। যদিও ফিরতি বলে আবারও পা ছোঁয়ান ইব্রাহিম হাসান কিন্তু বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। শুধু পেনাল্টি ঠেকানোই নয় গোটা ম্যাচে আটটি সেভ করে মিয়ামির পরাজয় ঠেকিয়ে নায়ক বনে গেছেন উস্তারিই। বিশেষ করে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলে দলকে রক্ষা করেন ৩৮ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
বেশ কিছুদিন ধরেই অবশ্য অসাধারণ গোলকিপিং করছেন তিনি। দলের প্রথম পছন্দের গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারের চোটের কারণে সুযোগ পেয়ে মেজর লিগ সকারেও ম্যাচের পর ম্যাচ দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলা অস্কার উস্তারি। খুব পিছিয়ে ছিলেন না আল আহলীর গোলরক্ষক মোহামেদ এল শেনাওয়ি। তিনি সেভ করেছেন পাঁচটি। ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় একচেটিয়া দাপট ছিল আল আহলীর। কিন্তু গোল বের করতে পারেনি তারা নিজেদের ব্যর্থতা আর উস্তারির দৃঢ়তায়। প্রথমার্ধেই ‘ওপেন প্লে’ থেকে চারটি সেভ করেন মিয়ামির গোলরক্ষক।
এরপর ৪৬ মিনিটে পেনাল্টি ঠেকানো তো আছেই। ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবরের পর প্রথমবার পেনাল্টি ঠেকাতে পারলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা গুছিয়ে নেয় মিয়ামি। দারুণ লড়াইয়ে খেলা জমে ওঠে। মেসি তার কিছু ঝলক দেখান এই অর্ধে। ৬৪ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে তিনি গোল পাননি অল্পের জন্য। ৮৫ মিনিটে আরেকবার গোলের কাছাকাছি যায় মিয়ামি। এবার মেসির ক্রস থেকে ফাফা পিকুঁর হেড ক্রসবার স্পর্শ করে চলে যায় বাইরে। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে নাটকীয় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইন্টার মিয়ামি। এবার মেসির শটে বলে কোনোরকমে স্পর্শ করে বাইরে পাঠিয়ে দেন আল আহলির গোলরক্ষক এল শেনাওয়ি। ‘এ’ গ্রুপে বৃহস্পতিবার মিয়ামির পরের ম্যাচ পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তোর বিপক্ষে। একই দিনে ব্রাজিলের পালমেইরাসের মুখোমুখি হবে আল আহলি।