ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত চতুর্থ দিনে পৌঁছেছে এবং উভয় পক্ষেই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও ইরানের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ ছিল, তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলে যাচ্ছেন, তাঁদের চালানো হামলা আরও ভয়াবহ।
ইসরায়েল বলছে, ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় তাদের হামলা চালানোটা খুবই জরুরি ছিল এবং সে হামলাগুলো তারা সফলভাবে চালিয়েছে।
ইসরায়েল তার জনগণকে এই হামলার পক্ষসমর্থন করে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই আসল কারণটি ব্যাখ্যা করে না। কেন ইসরায়েল সরকার একতরফাভাবে কোনো উসকানি ছাড়াই এই হামলা চালাল, তার কোনো ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক মনে হচ্ছে না।
ইসরায়েল সরকার বলছে, এই হামলা ‘প্রতিরোধমূলক’ ছিল; এর লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির এক আসন্ন ও অনিবার্য হুমকি মোকাবিলা করা। কিন্তু এই দাবি সমর্থন করার মতো কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। বরং ইসরায়েলের হামলাটি অত্যন্ত পরিকল্পিত ও দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুত করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।
কোনো হামলাকে প্রতিরোধমূলক হামলা বলতে হলে সেটিকে আত্মরক্ষার অংশ প্রমাণ করতে হয় এবং এর পেছনে একটি জরুরি পরিস্থিতি থাকতে হয়। কিন্তু এমন কোনো জরুরি পরিস্থিতি আসেনি যা দিয়ে সেই দাবি করা যেতে পারে।