নাসিরের ‘স্মরণীয়’ প্রত্যাবর্তন
ইনিংসের তৃতীয় বল। মাশরাফি বিন মুর্তজার ডেলিভারিটা টম ল্যাথামের ব্যাট হয়ে গিয়েছিল স্কয়ার লেগে। কিন্তু খুবই সহজ একটা ক্যাচ মিস করে বসেন নাসির হোসেন। প্রায় সাড়ে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ‘ভিলেন’ বনে গিয়েছিলেন তিনি।
তখন রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ল্যাথাম। পরে ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’ বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি খেলেন ৯২ বলে ৮৪ রানের এক ইনিংস। বাংলাদেশি বোলারদের গলার কাঁটা হয়ে আটকে ছিলেন অনেকক্ষণ।
যদিও পরে সেই নাসির হোসেনই বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ল্যাথামকে। শুধু তাই নয়। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে এখন অবধি সবচেয়ে সফল বোলার হলেন এই নাসির।
নয় ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন ডান-হাতি এই অফ স্পিনার। ল্যাথাম ছাড়াও নিল ব্রুমকে অধিনায়ক মাশরাফির ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ব্রুমের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান।
ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার নাসির সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ড সফর ও শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াডেই ছিলেন না নাসির।
এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও গতকালই প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পেলেন তিনি। নাসিরকে সুযোগ দিতে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাঞ্জামুল ইসলাম। আগের ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় সাঞ্জামুলের। সেই ম্যাচে পাঁচ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে তিনি পান দুই উইকেট। সাঞ্জামুল তাই আক্ষেপ করতেই পারেন।
টম ল্যাথাম আর নিল ব্রুম যখন ব্যাট করছিলেন তখন, নিউজিল্যান্ডের রানের পাহাড়ে উঠে যাওয়াটা খুবই সম্ভব ছিল। দুজনে মিলে এক উইকেটে ১৫৬ রান অবধি নিয়ে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে।
২৯তম ওভারে গিয়ে ১৩৩ রানের অনন্য এই জুটির অবসান ঘটে। এরপর থেকেই নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। সেই চেপে ধরার সূচনাটা করেন নাসিরই। পরে তাতে যোগ দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান। দুজনই নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া অপর দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
ফলাফল, নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৭০ রান করে দলটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে ৩০০-এর ওপরে নিউজিল্যান্ডের রান চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। কিন্তু সেটা হয়নি বাংলাদেশি বোলারদের কৃতিত্বে।
ইত্তেফাক/আনিসুর