বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক শুধু বাণিজ্যের বিষয় নয়। এটি ভূরাজনৈতিক, ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত বিষয়। আগামী ১ আগস্ট কার্যকর হওয়ার কথা বিদ্যমান ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ মোট ৫০ শতাংশ শুল্কহার। এ হার কমিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ও দর-কষাকষি করতে পারেনি বাংলাদেশ। এসব কথা তুলে ধরে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, কোনো দুর্বল সরকার সফল দর-কষাকষি করেছে—ইতিহাসে এমন নজির খুব কম।
তবে পুরোপুরি আশা ছেড়ে দেননি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে এখনো ভালো কিছু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারপ্রধানের যত ধরনের যোগাযোগের উৎস আছে, সব কাজে লাগিয়ে শেষবারের মতো চেষ্টা করা উচিত।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব বক্তব্য উঠে এসেছে। প্রথম আলো আয়োজিত এ বৈঠকে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা অংশ নেন।