জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, আমরা আজও শাপলা, সাদা শাপলা, লাল শাপলা চেয়েছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না। এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এই তিনটি প্রতীকের মাধ্যমেই নিবন্ধন হতে হবে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা আজ নিবন্ধন, প্রতীক ও প্রবাসী ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলেছি। কমিশন আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

তিনি বলেন, আমাদের জন্য একটি সুখবর আসছে জুলাই পরবর্তী সময়ে। আমরা আজকেও বলেছি...শাপলা, সাদা শাপলা, লাল শাপলা চেয়েছি। আমরা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না। এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনটি প্রতীকের মাধ্যমেই নিবন্ধন হতে হবে। এর ব্যত্যয় হবে না। ইসি না মানলে কীভাবে আদায় করতে হয় তা আমরা জানি।

ইসির প্রতীকের সংশোধনীর মধ্যে শাপলা নেই, তাহলে আপনারা কীভাবে পাবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই সংশোধনীতে যদি না আসে তাহলে আবার তারা করবেন। সংশোধনী যেকোনও সময় করার সুযোগ থাকে। আমরা শাপলা থেকে সরছি না। এনসিপি শাপলাতেই থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ১৫০টির মতো আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় জেলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা, জুলাই অভ্যুত্থানে নারী, কৃষক, শ্রমিকসহ যারা ছিলেন তাদের নিয়ে প্রার্থিতা থাকবে। আমাদের আলোচনা চলছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ

সংস্কার যদি না হয় তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমি তো বলেছিলাম যে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে কিনা স্টিল কনফিউশন আছে। ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে কিনা...সরকার অনেক ইনসিস্ট করছে ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন করার জন্য সবাইকে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে জুলাই সনদটা রয়েছে এটার লিগ্যাল যে পার্সপেক্টিভ সেই জায়গা থেকে এখনও কোনও সলিউশন হয় নাই। আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং দ্রুতগতিতে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যেতে হবে। অনেকেই বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করে থাকে যে জামায়াত ইলেকশন চায় না, এনসিপি ইলেকশন চায় না, এগুলো হলো তাদের একটা প্রোপাগান্ডা। যদি বাংলাদেশে অতিদ্রুত গতিতে সুন্দর একটা ইলেকশন কেউ চেয়ে থাকে সেটা সবার আগে এনসিপি চাইবে।

তিনি বলেন, আমরা কয়েকটা ক্রাইটেরিয়া সিলেক্ট করেছি। আগামীর ইলেকশনটা হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আগামীর ইলেকশনটা হবে নারীদের পক্ষে, আলেমদের পক্ষে, তরুণদের পক্ষে। তো তিনটা জিনিস বিপক্ষে, তিনটা জিনিস পক্ষে। এই আদর্শিক জায়গাটা ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আমাদের যারা হিন্দু-বুদ্ধিস্ট ভাইরা রয়েছেন... সমন্বিতভাবে আগামীর যে পার্লামেন্টটা হবে পুরো বাংলাদেশে যতগুলো জাতিসত্তা রয়েছে সবার একটা সম্মিলিত রূপ। নতুন একটি বাংলাদেশের স্বপ্নে আমরা যাচ্ছি।

এ সময় জামায়াত-বিএনপিকে ‘ভণ্ডামি বন্ধ করার’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো। সব আসনে জয়ের জন্য আমরা প্রচেষ্টা করবো। কিন্তু ইট কামস টু দ্যা প্র্যাক্টিক্যাল, আমরা সেখানে বলেছিলাম যে আমাদের ১৫০টা আসন উইন করার এবং একদম কনফার্ম, এরকম জেতার মতো সিচুয়েশনে আছে।

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আপনারা একত্রিত হলে কোন প্রতীক থাকছে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, দলের নাম এনসিপি থাকবে, এনসিপির প্রতীকেই থাকবে। অন্য দলের নাম মার্কা ডিজলভ হবে এবং এনসিপির আন্ডারে আরো অনেক দল আসতেছে। এটা আমরা বড় ধরনের একটা পার্টি করতে যাচ্ছি। ফলে অনেক দল অনেক ব্যানার ইনশাআল্লাহ এনসিপির ব্যানারে চলে আসবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews