বিপিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আমদানি করা জ্বালানি তেলের মাধ্যমে বিপুল চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে না। জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ইআরএল দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা গেলে বছরে ২০ থেকে ২৪ কোটি ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। দেশে তেল শোধনের মাধ্যমে এ টাকা সাশ্রয় হবে।
বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে জ্বালানি তেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ডিজেল। এর পরিমাণ বছরে গড়ে ৪৬ লাখ টন। অপরিশোধিত তেল এনে দেশে পরিশোধনের মাধ্যমে ডিজেল উৎপাদন করা হলে ১ ব্যারেলে (১৫৮ দশমিক ৯৯ লিটার) সাশ্রয় করা যায় ১০ থেকে ১১ ডলার। তার মানে ডলারের বর্তমান আনুষ্ঠানিক বিনিময় হার (১২২ টাকা) ধরে হিসাব করলে প্রতি লিটার ডিজেলে সাশ্রয় হয় ৮ টাকা ৪৪ পয়সা।
ইআরএলের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে এখন ৪২ হাজার কোটি টাকা। যদিও শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। শুরু থেকেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা দেখা যায়। বিদেশি অর্থায়নের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এরপর সরকারের অর্থায়নের অপেক্ষায় থেকে কেটে যায় কয়েক বছর।
জানতে চাইলে ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শরীফ হাসনাত প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা গেলে দেশে জ্বালানি খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। পরিশোধন সক্ষমতার সঙ্গে মজুত ক্ষমতাও বেড়ে যাবে। এতে উচ্চ মূল্যে জ্বালানি তেল আমদানি না করে পরিস্থিতি বুঝে অপেক্ষা করার সুযোগ পাবে বিপিসি। এ ছাড়া দ্বিতীয় ইউনিটে করা বিনিয়োগ উঠে আসবে ১০ বছরের মধ্যে।