আগে যখন শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল, যেকোনো বাজেটের পরই শুনতে হতো ‘মানুষ মারা’ বাজেট। তখন বিভিন্ন যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বাজেটে গণবিরোধী কিছু থাকলে বদলও হতো। এখনকার তথাকথিত বিরোধী দল সমালোচনা না করে বরং স্তুতিবাক্যের মধ্যেই চলে। এদিকে ব্যবসায়ীরা তাঁদের সুবিধা দাবি এবং ক্ষমতার কাছে থাকলে সেই সুবিধাগুলো আদায় করে নেন।
এ ক্ষেত্রে সংবাদপত্র যদি কিছুটা বলার চেষ্টা করে, সেটাই একমাত্র ভরসা। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলি, গত বাজেটের আগে এবং পরে এই অধম সব মিলিয়ে চারটা লেখা দিলেও সরকার কোনো কর্ণপাত না করেই নিজেদের মতো বাজেট পাস করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের তো চেষ্টা করতে হবে।
নিজেদের ভুলেই দেশ এক অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে। সমস্যার আসল কারণগুলো সমাধানের চেষ্টা না করে বিভিন্নভাবে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তাতে দেশ অন্তত শেষ সীমাতে যাওয়া আটকে দিলেও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে এবং দেশ নিশ্চলতা-স্ফীতিতে পড়েছে। দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসাও হয়ে গেছে স্থবির। শুধু অলিগার্কি এবং যাঁদের অবৈধ আয় আছে, তাঁরা ছাড়া আসলে কেউই ভালো নেই। এ অবস্থায় পত্রিকার মাধ্যমে বাজেট নিয়ে যেসব খবর আসছে তা বেশ ভয়ংকর। এগুলোর বেশ কিছু পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।