কাশ্মিরের সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে নওশেরা, সুন্দরবানি এবং পাল্লানওয়ালা সেক্টরে নতুন করে এ গোলাগুলি শুরু হয়। এখনও তা চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন বেসামরিক আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাদ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানি সেনারাই প্রথমে গুলি চালিয়েছে। আর এরপরই বদলা হিসেবে ভারতীয় সেনারাও গুলি ছুড়তে শুরু করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই কাশ্মিরের সীমান্ত এলাকাগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি রেখেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানি সেনাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-কে নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাতে আরএস পুরা ও আর্নিয়া এলাকায় ১৫টি ভারতীয় পোস্ট এলাকায় গোলাগুলি হয়। এতে এক বিএসএফ সদস্য নিহত এবং ছয় গ্রামবাসী আহত হন বলে জানায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে,ভীমবার সেক্টরের চারটি ভারতীয় পোস্ট ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। এতে পাঁচ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি,সোমবার ভারতীয় পক্ষ থেকে ‘বিনা উসকানিতে’ হামলা চালানো হয়। এরপরই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তার জবাব দেওয়া হয়। তখন থেকেই তিনদিন ধরে সেখানে গোলাগুলি চলছে। ভারতীয় বাহিনী গ্রামের বেসামরিক লোকজনকে আক্রমণ করছে বলেও পাকিস্তান অভিযোগ করেছে।

উল্লেখ্য, পাঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা এবং পরবর্তীতে হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানিকে কথিত এনকাউন্টারে হত্যার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর আবারও জয়েশ ই মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে দায়ী করতে শুরু করে ভারত। পারস্পরিক দোষারোপ এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক তৎপরতার এক পর্যায়ে ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করে। ওই অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পর থেকে দুই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে পাকিস্তান দাবি করে আসছে এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না, সীমান্ত সংঘর্ষ বা আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা ছিল। ঘটনাকে ভারতের দিক থেকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ প্রমাণ করে তাদের সামরিক শক্তি জানান দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবিটি একটি ভ্রম। মিথ্যে প্রভাব তৈরির জন্য ভারতীয়রা ইচ্ছে করে এমনটা করছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভারতের দাবিকৃত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এখন যতোটা না জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সাফল্য-ব্যর্থতার প্রশ্ন,তার থেকেও বেশি করে ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্ষমতা-আত্মমর্যাদা আর দম্ভের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

/এফইউ/



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews