অনূর্ধ্ব-২১ যুব বিশ্বকাপ হকির স্থান নির্ধারনী ম্যাচে ওমানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্বে দারুণ খেলেছে লাল সবুজের দল। লড়াই করেছে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে। এবার স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও দারুণ ঝলক দেখাচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আমিরুল ইসলাম ও রকিবুল হাসানের হ্যাটট্রিকে ওমানকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন রকিবুল হাসান। এমনিতে সিনিয়রদের খেলায় ওমান হলো বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। দুই দলের ম্যাচে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে। তবে অনূর্ধ্ব-২১ পর্যায়ে এর কোনও ছাপই দেখা যায়নি। বাংলাদেশ একচেটিয়া খেলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে ওমান। ভারতের মাদুরাইতে বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ ৫ গোলে এগিয়ে ছিল। ১১ ও ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ তিনটি গোল পায়। ১৫ মিনিটে তো দুটি গোল আসে! তিনটি গোলই আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে। আমিরুল ইসলাম হ্যাটট্রিক করেন। এ নিয়ে বিশ্বকাপে আমিরুলের হ্যাটট্রিক দাঁড়ালো তিনটি। ১৯ ও ২৫ মিনিটে রাকিবুল ইসলাম জোড়া গোল পান। দুটি গোলই আসে আক্রমণ থেকে। বিরতির পরও বাংলাদেশের দাপট চলতে থাকে। এই অর্ধে আমিরুলরা আরও আগ্রাসী হয়ে খেলে। গোলও এসেছে আগের চেয়ে বেশি। ৩৩ মিনিটে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আক্রমণ থেকে গোল করেন। পরের মিনিটে আমিরুল ইসলাম পেনাল্টি কর্নার থেকে নিজের চতুর্থ ও দলের হয়ে ৭ গোল করেন। ৪০ মিনিটে ওবায়দুল জয় আক্রমণ থেকে দলকে ৮ গোল উপহার দেন। ৪৭ মিনিটে আসে নবম গোল। হ্যাটট্রিক পূরণ হয় রকিবুল হাসানের। আক্রমণ থেকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি। একই মিনিটে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে দশম গোলের স্বাদ পাইয়ে দেন। ৫১ মিনিটে মোহাম্মদ সাজু পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ওমানকে আরও লজ্জা দেন। দুই মিনিট পর আমিরুল ইসলাম নিজের পঞ্চম ও দলের হয়ে ১২তম গোল করেন। গোল এবারও আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে। ৬০ মিনিটে মোহাম্মদ সাজু পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ওমানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৬ ডিসেম্বর। স্থান নির্ধারণী পর্যায়ে অন্য ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। স্থান নির্ধারণীর পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপে ২৪ দলের মধ্যে ১৭ হয়ে শেষ করতে পারবে।