তখন সালমান শাহ নাছোড় হয়ে মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। মায়ের মন জয়ের চেষ্টা করেন। তিনি সিনেমা করবেনই। ছেলের এসব দেখে সালমানের বাবা রাজি হয়ে গেলেন। আর কোনো আপত্তি নয়। কিন্তু নীলা চৌধুরী তখনো রাজি না। পরে সালমান তাঁর পায়ে ধরেন। সালমানের মা বলেন, ‘তখন আমি কী করব? ও আমার পা ধরে বলল, “মা তুমি রাজি হও। তুমি রাজি না হলে সিনেমা করতে পারব না।” পরে সিনেমার পরিচালক সোহান বলল, “আপনার পায়ে ধরি, একটি ছবি করতে দেন।” তখন বললাম সিনেমা করো। পরে তো ভালো করল। আরও অনেকেই আগ্রহ দেখাল। তখন আমরাই বললাম, সিনেমা করো।’
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিং থেকে ফিরে নিয়মিত মায়ের কাছে গল্প করতেন সালমান। একবার মৌসুমীকে শুটিংয়ের সময় কোলে নিতে গিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন, সেই গল্পও শুনিয়েছিলেন। কিন্তু নীলা চৌধুরী বুঝতে পারেন, কোনো কারণে মৌসুমীকে অপছন্দ করেন সালমান। নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর একবার মৌসুমী এসেছিল আমাদের বাসায়। তখনই প্রথম মৌসুমীকে দেখি। এর আগে সিনেমার শুটিংয়ের সময়ও সালমানের মুখে মৌসুমীর কথা তেমন শুনিনি। সেই মৌসুমী এখন বলছে, ইমন তার বাল্যবন্ধু ছিল। খুলনায় তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছে। এটা হাস্যকর একটা কথা।’