রাজধানীর ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরে জ্বরের লক্ষণ ছিল বলে এক জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে। এছাড়াও ৩৬ শতাংশ রোগীর কাশি, ১৭ শতাংশের গলা ব্যথা এবং ৫ শতাংশের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল বলেও ওই জরিপের ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউএসইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আইইডিসিআর এবং আইসিডিডিআর.বি যৌথ উদ্যোগে জরিপ কাজটি পরিচালিত হয়। [...]

রাজধানীর ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের শরীরে জ্বরের লক্ষণ ছিল বলে এক জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে।

এছাড়াও ৩৬ শতাংশ রোগীর কাশি, ১৭ শতাংশের গলা ব্যথা এবং ৫ শতাংশের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল বলেও ওই জরিপের ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউএসইড, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আইইডিসিআর এবং আইসিডিডিআর.বি যৌথ উদ্যোগে জরিপ কাজটি পরিচালিত হয়।

গত ১৮ এপ্রিল এবং ৫ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার মোট ৩ হাজার ২২৭টি গৃহে এই জরিপ চালানো হয়।

প্রাথমিক কিছু লক্ষণের উপর ভিত্তি করে এসব পরিবারের শ্রেণীকরণ করা হয়েছে। জরিপের প্রথম দিন থেকে শুরু করে সাত দিনের ভেতর কোনো সদস্যের যদি কোভিড-১৯ এর ৪টি (জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট) উপসর্গের মাঝে যেকোনো একটিও দেখা যায়, সেই গৃহকে করোনার উপসর্গযুক্ত গৃহ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

আর যদি কোনো সদস্যেরই চারটির একটি উপসর্গও জরিপের দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা না যায়, তবে সেই পরিবারকে কোভিড-১৯ মুক্ত বলে গণ্য করা হয়।

মোট ৩ হাজার ২২৭টি পরিবারের ওপর পরিচারিত জরিপে ২১১ উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। সেখান থেকে ১৯৯ জনের টেস্ট করা হয়। উপসর্গযুক্ত পরিবার থেকে মোট ৪৩৫ জন উপসর্গহীন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে ২০১ জনের টেস্ট করা হয়।

আবার উসর্গহীন পরিবার থেকে ৮২৭ জনকে চিহ্নিত করে ৫৩৮ জনকে টেস্ট করা হয়। অতিরিক্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয় ঢাকা শহরের ৬টি বস্তি থেকে। সেই সংখ্যাটি ৭২০টি পরিবাার।

জরিপে দেখা যায়, মোট পরিবারের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ করোনা উপসর্গযুক্ত।

করোনা উপসর্গযুক্তদের মধ্যে ৩০ শতাংশ, উপসর্গহীনদের  ১৪ শতাংশের মধ্যে পারিবারিক যোগাযোগ থেকে এবং ৮ শতাংশ উপসর্গহীন ব্যক্তিদের মাঝে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।

জরিপে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ বছর বা ততোর্ধ্ব বয়স্ক ব্যক্তি। ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ১২ শতাংশ এবং ১০ বছররের কম বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৬ শতাংশ।

এই সময়ের মধ্যে পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যাদের মধ্যে এক মাসের ফলোআপে মাত্র ১ জনের মৃত্যুর খবর আসে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews