তেহরানের বিরুদ্ধে আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসংক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তনকে ‘মনস্তাত্ত্বিক ও মিডিয়া গেম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইরান।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ট্রাম্পের বক্তব্য প্রকৃতপক্ষে দুই দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতার উদ্দেশ্যে নয়। বরং এটি একটি কৌশলগত প্রচারণার অংশ।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ‘ট্রাম্পের এই বিবৃতি সংলাপ বা সমস্যা সমাধানের পক্ষে একটি গুরুতর অভিব্যক্তি হিসেবে দেখার চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক ও মিডিয়া গেমের প্রেক্ষাপটে বেশি দেখা উচিত।’
এর কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্য করে তীব্র সমালোচনা করেন এবং ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা বাতিল করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, তেহরান যদি ‘উদ্বেগজনক মাত্রায়’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখে, তবে তিনি আবারো ইরানে বোমা হামলার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এই অবস্থান স্পষ্টতই ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। ইরান পূর্বে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ও ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাস’ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
এদিকে, ইরান পক্ষ থেকে বারবার জানানো হয়েছে যে কোনো অর্থবহ সংলাপ তখনই সম্ভব, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে এবং ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান ভাষ্য এবং আচরণ ইঙ্গিত দেয়, ওয়াশিংটন এখনো তেহরানের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল থেকে সরে আসার পরিকল্পনা করছে না।
সূত্র : আল জাজিরা