২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি ও তার সহযোগীরা বর্জন করে। যদিও অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রস্তাব মেনে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে রাজনীতির ধারা ভিন্ন হতে পারত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ‘দিনের ভোট রাতে হয়েছে’ বলে অভিযোগ আছে। আর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হলো, তাতে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল—

নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। কোথাও কোথাও দল থেকে চার–পাঁচজন প্রার্থীও দাঁড়িয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাঁদের মনোনয়ন দিয়েছিল, তঁাদের মধ্যে ৬২ জন জয়ী হতে পারেননি। ওই সব আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। 

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে যে প্রচণ্ড অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তারও কারণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন। স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ আনলেও দলের ভেতরে অন্তর্দাহ শুরু হয়েছে, যা সহজে মিটবে বলে মনে হয় না। দৃশ্যত এই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যে কটি হতাহত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে। নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁরাই নিজেদের ‘রাজা’ মনে করেন। পরাজিত প্রার্থীরা তাঁদের কাছে ‘পরিত্যক্ত’। এর জের উপজেলা নির্বাচনেও পড়েছে। 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews