চট্টগ্রামে গণপরিবহন সঙ্কট -ভোগান্তিতে নগরবাসী





| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম





আইয়ুব আলী : চট্টগ্রাম নগরীতে গণপরিবহন সঙ্কটকে পুঁজি করে গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের অনেকে বাড়ি চলে গেছে। এ কারণে নগরীতে কমে গেছে গণপরিবহনের সংখ্যা। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে যাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এখনও বন্দরনগরীতে ফিরছে। পরিবহন সঙ্কটের কারণে নগরমুখী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। ঈদের দুইদিন আগ থেকে গণপরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু হয়। ঈদের দিন বাস ও মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া আদায় করা হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা। ঈদ শেষ হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে। গতকালও নগরীর বিভিন্ন রুটে বাসে ভাড়া উঠানামা ১০ টাকা আদায় করা হয়েছে।
বাস-মিনিবাসের সাথে পাল্লা দিয়ে রিক্সা-অটোরিকশার ভাড়াও বেড়েছে। অটোরিকশা চালকেরা ন্যুনতম দূরত্বেও ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া হাঁকছেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে গণপরিবহন মিলছে না। ভাড়াও আদায় হচ্ছে অতিরিক্ত হারে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসা লোকজনকেও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে নেমে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা খুলেছে। অফিসে আসা-যাওয়ার পথে তাদের পরিবহন সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মহানগরীর ১২টি রুটে অর্ধেকের চেয়ে কম গণপরিবহন চলছে। মহানগরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন রুটেও পরিবহন সঙ্কট রয়েছে। এ সুযোগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক, চট্টগ্রাম-আনোয়ারা, চট্টগ্রাম-বাঁশখালী, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী, চট্টগ্রাম-রাউজান, চট্টগ্রাম-ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে নগরী এখনও ফাঁকা রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপস্থিতি কম। নগরীর বড় বড় মার্কেট, শপিং মল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেশিরভাগ দোকান-পাটসহ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। আগামী রোববার থেকে বন্দরনগরী তার চিরচেনা রূপে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।





Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews