বাবা মারা যাওয়ার পর ১৫ বছর বাবার ছবি দেখেন না শর্মিতা। বাবাকে পর্দায় দেখলে তাঁর কষ্ট হয়। তবে এখনো পরিবারের অন্যদের নিয়ে বাংলা সিনেমা দেখেন। বুঝতে পারেন বাংলা সিনেমায় খল অভিনেতার সংকট। তখন বাবার কথা মনে পড়ে। শর্মিতা বলেন, ‘বাবা খলচরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে সহজ–সরল জীবন যাপন করতেন। শুটিং বলেন, আর এলাকার আত্মীয়স্বজনই বলেন, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। গত ১৫ বছরে কখনোই বাবাকে নিয়ে কারও মুখে খারাপ কথা শুনিনি। আজ বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো অন্য উচ্চতায় থাকতেন। সংকটের দিনগুলো দেখতে হতো না।’
দীর্ঘ ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে নাসির খান ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘গরিবের রাণী’সহ পাঁচ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। খলচরিত্রে অভিনয় করেই তিনি জনপ্রিয়তা পান। নাসির খানের জন্ম ১৯৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান নাসির খান। এক–এগারোর পরের দিন তাঁর মৃত্যু হওয়ার খবরটা সেভাবে মিডিয়ার প্রচার হয়নি। এখনো তাঁর ভক্তরা অনেকে মনে করেন এই অভিনেতা বেঁচে আছেন। নাসির খানের স্ত্রী জানালেন, পরিবার ছাড়া চলচ্চিত্র অঙ্গনে সেভাবে তাঁকে স্মরণ করা হয় না। আজ জন্মদিনে পরিবার থেকে দোয়া ও এতিমদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।