কৃষিবিদ, স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা দেশের মধ্যে নওগাঁয় সবচেয়ে বেশি রপ্তানিযোগ্য আম চাষ হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে উত্তম কৃষিচর্চা অনুসরণ করে জেলার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাগানে আম চাষ হয় থাকে। এসব বাগানে আম পাড়ার অন্তত ৩০ থেকে ৪০ দিন আগে আমে ব্যাগিং করা হয়। এই সময়ে আমে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এতে আমগুলো নিরাপদ হয়। তবে গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা বলছেন, নওগাঁয় যে পরিমাণ রপ্তানিযোগ্য আম চাষ হয়, সে তুলনায় রপ্তানি হয় খুবই সামান্য। রপ্তানি না বাড়লে আমের কাঙ্ক্ষিত দাম পাবেন না চাষিরা। এ অবস্থায় নওগাঁর রপ্তানির বাধাগুলো দূর করার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে আধুনিক উদ্যোগের আশা করছেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁয় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম চাষ হয়েছে পোরশা উপজেলায়, ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এরপরই বেশি আম চাষ হয়েছে সাপাহার উপজেলায়। সাপাহারে ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় এবার প্রতি হেক্টরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৮ টন। এই হিসাবে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৪ টন। নওগাঁয় জুনের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত আমের ভরা মৌসুম। এখানে আম্রপালি, বারি আম-৪, গৌড়মতী, নাক ফজলি, ল্যাংড়া আম বেশি চাষ হয়ে থাকে। জেলায় যে পরিমাণ আম চাষ হয় তার ৬০ শতাংশই আম্রপালি। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে রপ্তানিতেও শীর্ষে সুমিষ্ট এই আম।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews