প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার লড়াই শেষ পর্যন্ত হেরে গেলো সিটি ক্লাব। গতকাল রেলিগেশন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৮৭ রানে হেরে তিন বছর পর আবারো প্রথম বিভাগে নেমে গেলো তারা। সেই সাথে ম্যাচ জিতে প্রিমিয়ারে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখলো রূপগঞ্জ টাইগার্স। বিকেএসপিতে বাঁচামরার ম্যাচে সিটি ক্লাব টস হারায় প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। অধিনায়ক শামসুর রহমানের সময়োপযোগী সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি পায় তারা। ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছে দুই ওপেনার মাহফুজুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন। স্কোরবোর্ডে ৩২ রান তুলে প্রথমে আউট হন জসিম। ২০ বলে ১১ রান করেন এই ওপেনার। এরপর দলের রান পঞ্চাশ পার করে সাজঘরে ফিরেছেন মাহফুজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আরো তিন উইকেট হারায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। দলের রান এক’শ পার না হতেই রূপগঞ্জের ৫ উইকেট নাই। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শামসুর রহমান।সালমান হোসেনকে সাথে নিয়ে রানের গতি সচল রাখেন তিনি। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে দলের খাতায় যোগ করেন ১৩০ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৬৩ বলে তিনটি ছয় ও চারটি চারের মারে ৫৯ রান করে আউট হন সালমান। পরে আর কোনো ব্যাটারই শামসুর রহমানকে সঙ্গ দিতে পারেনি। তখনও একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শামসুর রহমান। শেষ পর্যন্ত ৪৯. ৫ ওভারে ২৫৭ রান করে রূপগঞ্জ টাইগার্স। সর্বোচ্চ ১০১ রান করেন শামসুর রহমান। তার ১১৫ বলের ইনিংসে পাঁচটি ছয় ও চারটি চারের মার রয়েছে। সিটি ক্লাবের ইরফান হোসেন ৫১ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া ১০ ওভার বল করে ৪৬ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন মইনুল ইসলাম। ২৫৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়ে সিটি ক্লাব। দলের খাতায় কোনো রান যোগ করার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার কফিল উদ্দিন। রূপগঞ্জের পেসার আরিফুল ইসলামের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড আউট হন কফিল। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিটি ক্লাব। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে একের পর এক উইকেট তুলে নেয় রূপগঞ্জ টাইগার্স। সোহাগ গাজী আর মহিউদ্দিন তারেকের মারমুখি বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে সিটির ব্যাটাররা। স্কোর বোর্ডে ৫০ রান জমা হতেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটার সাজঘরে। রূপগঞ্জের বোলিং তোপে কোনো ব্যাটারই স্বাচ্ছন্দে খেলতে পারেনি। শেষ দিকে মইনুল ইসলাম কিছুটা হাল ধরলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি সিটি ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ৪১.১ ওভারে ১৭০ রানে আটকে যায় সিটির ইনিংস। ৬৫ বলে এক ছয়ও পাঁচটি চারের মারে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন মইনুল ইসলাম। রূপগঞ্জের মহিউদ্দিন তারেক ৪.১ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। এছাড়া সোহাগ গাজী ১০ ওভারে ৩৪ রান খরচায় তিন উইকেট এবং আবু হাশিম ৩১ রানে দুই উইকেট পান। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক শামসুর রহমান। এই জয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট টিকে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকলো রূপগঞ্জ। রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচে রূপগঞ্জের প্রতিপক্ষ গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমী। দু’দলেরই পয়েন্ট সমান ছয় পয়েন্ট। সেই ম্যাচের বিজয়ী দল টিকে থাকবে প্রিমিয়ারে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews