তলপেটে প্রদাহ (Pelvic Inflammatory Diseases) হলে স্ত্রী প্রজননতন্তের ভিতরের অঙ্গের সংক্রমণ। সাধারণত এতে জরায়ু, ডিম্ববাহী নালি, ডিম্বকোষ ও পার্শ্ববর্তী পেলুভিক টিস্যুগুলো আক্রান্ত হয়। এসব টিস্যুতে জ্বালা-যন্তণা, প্রদাহ ও স্ফীতি দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের ব্যাটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবণু দ্বারা তলপেটে প্রদাহ (PID) হতে পারে ।তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি গনোরিয়া এবং ক্ল্যামেডিয়ার ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে জটিলতা থেকে এই রোগ হয়।
লক্ষণ ও উপসর্গ :
তলপেটে ব্যথা এর প্রাথমিক লক্ষণ। প্রথম দিকে একটা মৃদ ব্যথা অনুভব হয় তবে রোগ বাড়লে ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে খিঁচনিও দেখা দিতে পারে।
যোনি থেকে অস্বাভাবিক স্রাব, পুঁজযুক্ত স্রাব, মাসিকের সময় প্রবল রক্তস্রাব বা মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব দেখা দিতে পারে।
গায়ে জ্বর থাকতে পারে। জ্বর অনেকদিন ধরে থাকতে পারে।
তলপেটে চাকা থাকতে পারে।
সার্বিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে।
তলপেটে প্রদাহের (Pelvic Inflammatory Diseases) উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার।
তলপেটে প্রদাহ থেকে জটিলতা:
পুনরাক্রমন: যেসব মহিলা একবার এই রোগে আক্রান্ত হন, তাদের পুনরায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে ।
তলপেটে দীঘস্থায়ী ব্যথা: বন্ধ্যত্ব ছাড়াও পেলভিসের বিভিন্ন অঙ্গের বিকৃতির ফলে তলপেটের প্রদাহে তলপেটে দীঘস্থায়ী ব্যথা বা অস্বাস্থি সৃষ্টি করতে পারে।
জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ (Ectopic pregnancy): জরায়ুর বাইরে সচরাচর ডিম্বনালিতে অস্থানিক গর্ভ সঞ্চাল হতে পারে। তলপেটের প্রদাহে ডিম্বানালি আংশিক রুদ্ধ বা বিকৃত হয়ে যাবার কারণ এই রোগে আক্রান্ত মহিলার অস্থানিক গর্ভ সঞ্চারের সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যায়। জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ অত্যন্ত মারাত্ন জটিলতা।
বন্ধ্যাত্ব: তলপেটের সংক্রমণের ফলে ডিম্বনালি সংকচিত হয়ে যায়। ফলে নালি দিয়ে জরায়ুতে ডিম্ব ঢুকতে পারে না।
প্রতিরোধ:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
মাসিকের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন বা পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করা।
যৌন মিলনে স্তারক্তা অবলম্বন করা।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কে জানা এবং তা মেনে চলা।
তথ্য সূত্র: এমসিডিসি
ইসি/