সমুদ্রের তলদেশে জীববৈচিত্র্য ও প্রবাল প্রাচীর পর্যবেক্ষণের জন্য জেলিফিশ আকৃতির রোবট তৈরি করেছে বিজ্ঞানীরা। ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির কয়েকজন প্রকৌশলী এ ধরনের রোবট তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এগুলো সমুদ্রের তলদেশে খুব ভালোভাবে পথ চলতে সক্ষম। রোবটগুলো সেখানকার জীববৈচিত্র্যে কোনও ধরনের ক্ষতি করবে না। যদিও মানুষের তৈরি জেলিফিশকে কচ্ছপ খেয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।
নমনীয় এসব জেলিফিশ রোবট ২০ সেন্টিমিটার চওড়া। এগুলোকে মুন জেলিফিশ আকৃতির করে বানানো হয়েছে। এ সম্পর্কে ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এরিক এঙ্গেবার্গ জানিয়েছেন, এগুলো এমন উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে যেন সমুদ্রের তলদেশে প্রাণীজগতের ঐক্য নষ্ট না করে।
তিনি বলেন, সাবমেরিন অনমনীয় হয় এবং সেগুলো সমুদ্রের তলদেশে পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। যেমন, প্রবালের সঙ্গে সাবমেরিনের সংঘর্ষ হলে সেখানকার সার্বিক পরিবেশ নষ্ট হয়। এদিক থেকে রোবট জেলিফিশ নিরাপদ।
এদিকে রোবট জেলিফিশকে ‘দারুণ এক আবিষ্কার’ বলে মন্তব্য করেছেন বেনগর ইউনিভার্সিটির সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক জন টার্নার। তিন জানান, এই ডিভাইসগুলো যেভাবে ঝাঁকুনি দিয়ে চলবে তাতে এগুলোর ভিডিও ধারণ কিংবা শব্দ ধারণ মানসম্পন্ন হবে না। তবে সার্বিক পর্যবেক্ষণে এরা খুব কাজে লাগবে, যেমন- প্রবালের স্বাস্থ্য, অক্সিজেন লেভেল এবং সমুদ্রের তলদেশ ক্ষয় পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এ ধরনের রোবট।
জন টার্নার বলেন, একটা ঝুঁকি থেকেই যায় যে, কচ্ছপ কিংবা বিশাল আকারের সামুদ্রিক প্রাণীগুলো এ ধরনের রোবট জেলিফিশ খেয়ে ফেলতে পারে। ফলে সেসব প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাবও পরতে পারে কোনও সময়।
এ সমস্যা সমাধানে টার্নারের পরামর্শ হলো, রোবট জেলিফিশগুলোতে এমন বাজে রকমের স্বাদ যুক্ত করে দেওয়া, যেন কোনও প্রাণিই সেগুলো খেতে আগ্রহী না হয়।
সূত্র: বিবিসি