কলম্বোর আর প্রেমাদাসার উইকেট কিছুটা মিরপুরের মতো। স্পিন ধরে। বল স্লো ও লো হয়ে টার্ন করে। বিষয়টি বুঝেই শেখ মেহেদী দলে নেওয়ার পরিকল্পনা কষেন লিটন দাস। বাংলাদেশের অধিনায়ক সফলও হন। মেহেদীর ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয় শ্রীলংকা। লঙ্কায় টাইগাররা গড়ে ইতিহাস।
তিন ম্যাচের সিরিজ সমতায় ছিল। কলম্বোতে যারা জিতবে তাদের হাতেই ট্রফি—এমন সমীকরণের ম্যাচে বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী আসেন একাদশে। পাওয়ার প্লেতে উইকেট নেওয়ার অভ্যাস বানিয়ে ফেলা স্পিনার বুধবারও সফল হন। এরপর একে একে ফেরান স্বাগতিকদের আরও তিন ব্যাটারকে। লঙ্কানরা সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১৩২ পর্যন্ত যায় শ্রীলংকা। সেই রান ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় বাংলাদেশ। এমন দাপুটে দিনে ১১ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেন মেহেদী। প্রতিপক্ষের মাজা ভেঙে দেওয়া এই স্পিনারের বন্দনাই ছুটেছে অধিনায়ক লিটনের কণ্ঠে।
ম্যাচ শেষে মেহেদীকে খেলানোর ব্যাখ্যা দিয়ে লিটন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মেহেদীর যে স্কিল আছে, কলম্বোর এই উইকেটে উপযুক্ত। এর মানে এটা না যে শেখ মেহেদী ভালো উইকেটে বা অন্য উইকেটে ভালো বল করবে না। যখন জানলাম এখানে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে, আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল এই ম্যাচে আর কেউ খেলুক বা না খেলুক মেহেদী খেলবে।’
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
মিরাজকে বাদ রেখে মেহেদীকে খেলানোর ব্যাখাও দিয়েছেন লিটন, ‘এর মানে আবার এটা না যে (মেহেদী হাসান) মিরাজ ভালো বোলার বা ব্যাটার না। মেহেদী যতই ভালো করুক, কন্ডিশন যতই ভালো হোক, আমি লিডার হিসেবে চিন্তা করব সারফেস এর উপর চিন্তাভাবনা করে (দল বানানোর)। যদি সারফেস বোলিং সহায়ক আমি অবশ্যই মেহেদীকে খেলাবো, সারফেস ব্যাটিং সহায়ক হলে মিরাজ কামব্যাক করবে।’
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণীতেও একই প্রসঙ্গ এসেছিল ‘মিরাজের জায়গায় কি তবে মেহেদী’, কাপ্তান লিটন বলেন, ‘আসলে কঠিন (সিদ্ধান্ত) নয়। আমি অধিনায়ক হিসেবে সফলতায় বিশ্বাস করি। শেখ মেহেদীর এই উইকেটে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। এর মানে এই নয় যে, মিরাজ খারাপ প্লেয়ার। যদি উইকেট আবার ব্যাটিং সহায়ক হয়, তখন মিরাজ আবার খেলবে।’