সাকিবের আচরণে অস্বস্তিতে দল

গত ঈদের জামাতে নিউ ইয়র্কে এক ভক্ত ছবি তুলতে গেলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। নিউ ইয়র্কের বাংলা গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। যদিও সাকিব বিষয়গুলোকে পাত্তা দেননি। তিনি নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রাখেন। ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক নেতা ছাড়া সাধারণ মানুষ সাকিবের ধারে কাছে ভিড়তে পারে না বলে অভিযোগ নিউ ইয়র্কে। 

সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করতে না পারায় সমর্থকরা সাকিবের মুণ্ডপাত করছেন। গতকাল তাতে নতুন করে যোগ হয়েছে দেশের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে সাকিবের অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা। 

নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ক্রিকেটাররে সেন্ট ভিনসেন্টের বিমান ধরার তাড়া ছিল। সে সময় টিম বাসের সামনে স্ত্রী-ছেলে, মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব আল হাসান। এ সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে সাকিব নিষেধ করেন। সন্দেহের বশে একজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়েও নেন তিনি। পরে ফোনটি নিরাপত্তাকর্মীর হাতে তুলে দিয়ে নালিশ জানান সাকিব। যদিও নিরাপত্তাকর্মকর্তা সাকিবের অভিযোগ আমলে নেননি। 

পরে অবশ্য ফোন ফেরত পান সাংবাদিক। তবে এ ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে। সাকিব ঘনিষ্ঠরা পক্ষে বললেও সমালোচনায় মুখোর ৯০ শতাংশ মানুষ। 

জ্যামাইকার হিল সাইডের জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘সাকিবকে এখন দল থেকে বাদ দেওয়া দরকার। তাকে আমরা আর চাই না। খেলায় কোনো মনোযোগ নেই। নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। দেশের জন্য ভাবেন না তিনি। বাংলাদেশের মানুষই তো তাকে সাকিব বানিয়েছে। অথচ তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। দেশের একজন সাংবাদিককে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে তুলে দিতে গেছেন। মানুষ হিসেবে তিনি খুবই খারাপ। সাংবাদিক না হয়, ছবি তুলতে গিয়েছিল, তিনি তো এটা করবেই। এজন্যই তো লাখ লাখ টাকা খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তার ভেতরে কোনো ধরনের মানবতা নেই।’

বিসিবি কর্মকর্তারা সাকিবের ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে ড্রেসিংরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। ‘প্রাইভেসি’ কথা চিন্তা করে ড্রেসিংরুমেই পরিবারের সঙ্গে বিদায় পর্ব শেষ করতে পারতেন। তিনি তা না করে পরিবার নিয়ে বাসের সামনে এলে সাংবাদিকরা ফ্রেমবন্দি করার চেষ্টা করেন। যদিও কেউই সাকিব বা তার পরিবারের ছবি তোলার জন্য টিম বাসের সামনে যাননি। সবাই গিয়েছিলেন মূলত বাংলাদেশ দলকে বিদায় জানাতে। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেন। 

এ ধরনের অপ্রীতির ঘটনা এড়ানো যেত কিনা এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা ভিডিও বা ছবি তুলেছে তারা ঠিক করেনি। সাকিব একা থাকলে ঠিক ছিল, সে তো পরিবার নিয়ে ছিল। পরিবারের প্রাইভেসিটাও তো দেখা উচিত। তবে সাকিব ছবি বা ভিডিও ডিলিট করতে বলতে পারত। মোবাইল কেড়ে নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীর হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হয়নি।’ 

এ ব্যাপারে সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। সেন্ট ভিনসেন্টে অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার রাবিদ ইমামও ফোন ধরেননি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews