বৈঠক শেষে রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাজিদুল ইসলাম (বাপ্পি) বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি কেউ কোনো সাড়া দেননি। আমরা এটা প্রেস সচিবকে জানাতে এসেছিলাম। জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে যাঁদের খুলনায় বড় বড় জায়গায় বসানো হয়েছে, তাঁদের কি আমাদের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই? আমরা এটা জানাতে এসেছিলাম। আমরা প্রেস সচিব মহোদয়কে বলেছি আপনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করুন, খুলনার মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। খুলনা আজ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, আওয়ামী লীগার এবং পুলিশ লীগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্কতাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তাঁদের শেল্টার দিচ্ছেন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার।’
সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রেস সচিব মহোদয় আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি আগামীকালের মধ্যে এগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন এবং আগামীকালের মধ্যে একটা রেজাল্ট দেবেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা আমরা পর্যবেক্ষণে রাখতে চাই। এই সময়ের মধ্যে কেএমপি কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। ডিসি সাউথ, ডিসি নর্থ, কেএমপির আটটি থানা, কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করা হবে, খুলনা অচল হবে।’
সংবাদ ব্রিফিং শেষে আন্দোলনকারীরা সবাই চলে যান।