নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, শুরুতে ইউপি চেয়ারম্যান মারধর করেন। পরে মারধর করেন ওই কক্ষে থাকা বাকি ছয় থেকে আটজন। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মধুখালীর ইউএনও মামনুন আহমেদও ঘটনাস্থলে যান। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে চাইলে এলাকাবাসী বাধা দেন এবং পুলিশকে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে র‌্যাব, পুলিশের সদস্যসহ জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাত সোয়া একটার দিকে নির্মাণশ্রমিক দুই ভাইয়ের একজন আসাদুল (১৭) মারা যায়। রাত আড়াইটার দিকে মারা যান অপর ভাই আশরাফুল (২০)। বাকি দুই শ্রমিক নান্নু মণ্ডল (২১) ও সিরাজ শেখ (৩৫) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মন্দিরে আগুন ও দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে উত্তপ্ত মধুখালী। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ‘সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফরিদপুরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুর–১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান মধুখালী যান। তাঁর উপস্থিতিতে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews