আবদুলের মতো আরেক দোভাষী সায়েদ (ছদ্মনাম)। তাঁর অবস্থাও বেশ করুণ। এককালে যুক্তরাজ্যের হয়ে কাজ করা এই ব্যক্তিটি এখন তালেবানের ভয়ে লুকিয়ে থাকেন বাড়ির পেছনের একটি জঙ্গলে। পরিবারের জন্য খাবার কিনতে সপ্তাহে এক দিন গভীর রাতে শহরে যান তিনি।
ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার দায়ে এক দশক আগে তালেবানের কাছ থেকে একটি হুমকির চিঠি পান সায়েদ। সেখানে লেখা ছিল, ‘অবিশ্বাসীদের হয়ে কাজ করার জন্য তাঁর শাস্তি হবে।’ এরপর থেকেই নানা শঙ্কায় ছিলেন তিনি।
এ থেকে মুক্তি পেতে যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসনের জন্য আবেদন করেছিলেন সায়েদ। এপ্রিলে জানানো হয়, তিনি যুক্তরাজ্য যাওয়ার যোগ্য। পরে আগস্টে এসে সিদ্ধান্ত বদলায় যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণটা আবদুলের মতোই। সায়েদকে বলা হয়, তিনি দেশটির নিরাপত্তার জন্য হুমকি ডেকে আনবেন।
সায়েদ বলেন, ‘ব্রিটিশদের সঙ্গে কাজ করাই কি আমার পাপ? আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি অপরাধী নই। আমি অবৈধ কিছুই করিনি।’
এখনো আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সায়েদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের এবং সন্তানদের ভাগ্য নিয়ে আমি এখনো আশাবাদী। তবে ভয় হয়, এই লোকগুলো (তালেবান) আমাকে খুঁজে বের করবে।’