গত বছরের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সরকারের বিভিন্ন মহলে পরিবর্তন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর গুঞ্জন রটে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার সঙ্গে বুধবার রাতে সাক্ষাত করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সাক্ষাতের পর তিনি জেনেছেন, বিসিবি সভাপতি পদে তাকে আর রাখতে চায় না সরকার। তাৎক্ষণিকভাবে তার মনেও প্রশ্ন জেগেছিল কেন? সে প্রশ্ন তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টাকে করেছেনও।
জবাবে কোনো ক্রিকেটীয় কারণ ফারুককে বলা হয়নি। সে ব্যাপারে ফারুক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমারও প্রশ্ন ছিল কেন এবং কী কারণে আমাকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে সরকার।’
‘ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে কারণও জানতে চাই। তিনি জানান, আমাকে নাকি সরকারের ওপরমহল আর পছন্দ করছে না। এখন সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টার ওপরমহল কে, সেটি বুঝে নেওয়ার ভার আমি আপনাদের ওপরই ছেড়ে দিলাম। আপনারাই বুঝে নিন।’
আরও পড়ুন
বিসিবি সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদকে তার সুনির্দিষ্ট ব্যর্থতা উল্লেখ না করায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাকে আমার ব্যর্থতার কথা বলতো, তাহলে বুঝতাম যে আমি কোথায় কোথায় ভুল করেছি। কিন্তু সেসব কিছুই নয়। আমাকে শুধু বলা হয়, ওপরমহল আমাকে আর চাইছে না।’