হলিউড অভিনেতা কলিন ফেরেল একা! তার বাঁ-দিকে বসে আছেন বিভিন্ন প্রজন্মের পাঁচ অভিনেত্রী ও এক নারী নির্মাতা। তারা হলেন এলে ফ্যানিং, নিকোল কিডম্যান, সোফিয়া কপোলা, কার্স্টেন ডান্সট, অ্যাঙ্গাউরি রাইস ও অ্যাডিসন রিকি। বুঝুন অবস্থা! মেয়েদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তাই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সঙ্গে রসিকতাও করলেন ৪০ বছর বয়সী এই আইরিশ তারকা।
‘দ্য বিগাইল্ড’ ছবিতে কলিন ফেরেলকে শুধু মেয়েরা থাকে এমন একটি বাড়িতে পাঠিয়েছেন পরিচালক সোফিয়া কপোলা। এর কাহিনিতে একজন পুরুষকে পেয়ে তার সংস্পর্শে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগে মেয়েদের মধ্যে। এই বাড়ির কর্ত্রীর ভূমিকায় আছেন নিকোল কিডম্যান। কিশোরী ও তরুণীদের ফাঁদে ফেলে এই বাড়িতে আশ্রিত করে রাখেন তিনি।
অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যানকে একদিন বাদে আবার পেলাম সামনে। কান উৎসবের ৭০তম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ‘দ্য কিলিং অব অ্যা স্যাক্রেড ডিয়ার’ ছবিতেও তার সহশিল্পী কলিন ফেরেল। তবে গত ২১ মে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেননি।
বুধবার কলিন ফেরেলকে পেয়ে সেলফি তুলে বললামও, ওইদিন মিস করেছি আপনাকে। তার মুখে তখন পানির গ্লাস। এর মধ্যেই এক চোখ মেরে মজা করলেন। বুধবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় পালে দো ফেস্টিভাল ভবনের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয় ‘দ্য বিগাইল্ড’ টিম। প্রযোজক ইউরি হেনলিও ছিলেন।
১৯৭১ সালে মার্কিন নির্মাতা ডন সিজেল তৈরি করেছিলেন ‘দ্য বিগাইল্ড’। ওটাই রিমেক করেছেন সোফিয়া কপোলা। মূল ছবিতে ক্লিন্ট ইস্টউডের আনন্দ-বেদনা কেমন ছিল রিমেকে সেই স্বাদ পেয়েছেন কলিন ফেরেল।
সংবাদ সম্মেলনে সোফিয়া কপোলা বলেছেন, ‘অনেক বছর ধরেই এ কাজটা করার ভাবনা আমার মাথায় ছিল। মূল ছবিটি সাজানো হয়েছিল আহত সৈন্যের দৃষ্টিকোণ থেকে। তবে আমি রিমেক করেছি মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গিতে।’
পরিচালক হিসেবে ‘দ্য বিগাইল্ড’ সোফিয়ার ষষ্ঠ ছবি। এর মধ্যে তিনটিই নির্বাচিত হয়েছে কানে। ২০১৩ সালে আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগের উদ্বোধনী ছবি ছিল ‘দ্য ব্লিং রিং’। আর ২০০৬ সালে একই বিভাগে ছিল ‘ম্যারি-অ্যান্টোয়নেট’। ২০১৪ সালে আরেক নারী নির্মাতা জেন ক্যাম্পিয়নের নেতৃত্বে কানের প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক ছিলেন সোফিয়া কপোলা। জেন ক্যাম্পিয়ন স্বর্ণপাম জয়ী একমাত্র নারী পরিচালক। তার পাশে সোফিয়ার নামটা এবার বসে কিনা কে বলতে পারে!
/জেএইচ/এমএম/