এখন প্রশ্ন হলো, বর্তমানে কি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিস্থিতি আদৌ আছে? জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রহরার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্র সক্ষম কি না? গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে মানসিক অবস্থা, তাতে নির্বাচনের মতো একটি মহাযজ্ঞ সামাল দেওয়া তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তার মানে কি নির্বাচন হবে না? অবশ্যই হতে হবে; বরং একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও পুলিশ বাহিনীর বর্তমান সক্ষমতা বিবেচনায় না এনে নির্বাচন আয়োজন হবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাতে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাবে। আর তা হলে সাধারণ জনগণের ভোটদান থেকে বিরত থাকার আশঙ্কা থেকে যাবে। এ অবস্থা কারোই কাম্য হতে পারে না। সে পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেই সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কোনো ব্যতিক্রম হলে এর দায়ভার কে নেবে? তা নিতে হবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকেই। জনগণও এ পরিস্থিতি মনে রাখবে এবং সময়-সুযোগ এলে জবাবও দেবে। ১৯৯০ সালে সামরিক সরকার এরশাদের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র’ উত্তরণের কালপর্ব হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ কোনো সরকারের অধীন ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews