“আমরা এক হাজার দুইশ’ কর্মী থেকে দুইশ’ কর্মীর নিচে নেমে এসেছি। আগামী বছর এটি আরও কমবে।” – বলেছেন হুয়াওয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

হুয়াওয়েকে ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্ক সরবরাহকারীর তালিকা থেকে ২০১৮ সালেই নিষিদ্ধ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের মতো অস্ট্রেলিয়াও হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল।

“একদম সহজ করে বললে, ৫জি নিষেধাজ্ঞা আমাদেরকে অর্থনীতি থেকে এক হাজার উচ্চ-প্রযুক্তি এবং উচ্চ-পারিশ্রমিকের চাকরি সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।” – এক ইমেইল বিবৃতিতে জানিয়েছেন হুয়াওয়ে অস্ট্রেলিয়ার কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান জেরেমি মিচেল।

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, শুধু চাকরি নয়, নিষেধাজ্ঞা প্রভাব ফেলেছে বিনিয়োগেও। মিচেল জানিয়েছেন, ৫জি নিষেধাজ্ঞার পর গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে সাত কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ স্থগিত করেছে হুয়াওয়ে। অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে, এ অর্থমূল্য গিয়ে দাঁড়ায় দশ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারে।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য খাত থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছে হুয়াওয়ে। দেশটির রাগবি লিগে একটি ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক ছিল প্রতিষ্ঠানটি। গত মাসে হুয়াওয়ে জানিয়েছে, তারা সে পৃষ্ঠপোষকতার ইতি টানতে চলেছে।  মূলত অস্ট্রেলিয়ায় হুয়াওয়ের ব্যবসা কমে আসায় পূর্ব অনুমিত সময়ের আগেই পৃষ্ঠপোষক হারালো অস্ট্রেলিয়ান রাগবি লিগের ক্লাবটি।

কূটনৈতিক সম্পর্কেও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই চীন ও অস্ট্রেলিয়া। করোনাভাইরাস মহামারীর উৎস খুজে বের করতে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহবান জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তার পরপরই দেশ দুটির মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে।

এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে নিয়েছে চীন।

অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস রপ্তানী বন্ধের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান বার্লির উপরও কর ধরেছে চীন, অস্ট্রেলিয়ান ওয়াইন নিয়েও ‘অ্যান্টি-ডাম্পিং’ তদন্ত শুরু করেছে দেশটি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews