বাঁশি সম্রাট, লোকসঙ্গীতের অন্যতম কাণ্ডারী প্রয়াত বারী সিদ্দিকী’র ৬৪তম জন্মদিন বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর)। ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাই গানকে দেহ-মনে-প্রাণে এমনকি আত্মায় ঘোলোআনাই রক্ত করতে পেরেছিন গুণী এই সঙ্গীতশিল্পী।

গাওয়ার পাশাপাশি- গান লেখা, সুর কার এবং সঙ্গীত পরিচালনায়ও তিনি ছিলেন অনন্য। আর বংশী বাদক হিসেবে তো তার তুলনা ছিলেন তিনি নিজেই।

বারী সিদ্দিকী অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো মধ্যে- ‘শুয়া চান পাখি, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী হইস নারে অবসান’, ‘ওগো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। গানগুলো আজীবনই মানুষের মুখে মুখে রবে বলে সঙ্গীতজ্ঞ অনেকেই বিশ্বাস করেন।

তার একক অ্যালবামগুলো হচ্ছে- ‘দুঃখ রইলো মনে’, ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’, ‘সরলা’, ‘ভাবের দেশে চলো’, ‘সাদা রুমাল’, ‘মাটির মালিকানা’, ‘মাটির দেহ’, ‘মনে বড় জ্বালা’, ‘প্রেমের উৎসব’, ‘ভালোবাসার বসত বাড়ি’, ‘নিলুয়া বাতাস’, ‘দুঃখ দিলে দুঃখ পাবি’।

তিনি মূলত অডিও অঙ্গনেই দাপটের সঙ্গে গান করেছেন। এরপর আরেক প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে সিনেমার গানে তার অভিষেক হয়। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’ শীর্ষক গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর তিনি বেছে বেছে গল্পনির্ভর ও মানসম্পন্ন কিছু সিনেমায় গান করেছেন। এগুলো হচ্ছে- ‘রূপকথার গল্প (২০০৭)’, ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ (২০১২)’, ‘ও আমার দেশের মাটি (২০১২)’, ‘মাটির পিঞ্জিরা (২০১৩)’।

বারী সিদ্দিকী ছিলেন মূলত গ্রামীণ লোকসঙ্গীত ও আধ্যাত্মিক ধারার শিল্পী। সঙ্গীতকে ভালোবেসে জীবনভর গানের সঙ্গেই ছিলেন, শুধু গান নিয়ে ছিলেন। অবশেষে ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮

ওএফবি/



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews