টানা পঞ্চম বুন্দেসলিগা শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বায়ার্ন মিউনিখ। পেপ গার্দিওলা ম্যানচেস্টার সিটিতে চলে গেছেন, কোচের চেয়ারে কার্লো আনচেলত্তি। অভিজ্ঞ এই ইতালিয়ানকে সারথি পেয়ে দুরন্ত গতিতেই ছোটা শুরু বায়ার্নের জয়রথের। প্রথম ম্যাচেই ওয়ের্ডার ব্রেমেনকে ৬-০ গোলে হারিয়ে বাভারিয়ানরা জানান দিল, মৌসুম নতুন হলেও ফল পুরনোই হবে! ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহামের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি লিভারপুল, ড্র করেছে ১-১ গোলে।

বুন্দেসলিগার গত মৌসুমে রবার্ট লেভানদোস্কি করেছিলেন ৩০ গোল। প্রথম ম্যাচেই ৩ গোল করে এই পোলিশ স্ট্রাইকার বুঝিয়ে দিলেন, সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুটটা এ মৌসুমেও ধরে রাখতে চান। জার্মান কাপের ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন লেভা, দল জিতেছিল ৫-০ গোলে। এবারও তাঁর হ্যাটট্রিক, দলের জয় ৬-০ গোলে। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের নবম মিনিটে জাবি আলোনসোর গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন, এরপর ম্যাচের ১৩ ও ৪৬তম মিনিটে দুটি গোল আসে লেভানদোস্কির পা থেকে। ৬৬ মিনিটে ফিলিপ লামের গোলের পর ৭৩ মিনিটে ফ্রাঙ্ক রিবেরি গোলের দেখা পেলে স্কোরলাইনটা হয় ৫-০। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন, স্পটকিক থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানদোস্কি। এমন গোল উৎসবের ম্যাচে ব্যবধানটা আরো বাড়াতে পারত বায়ার্ন, যদি না সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট করতেন থোমাস ম্যুলার। লেভা নিজেও পেনাল্টির আগেই হ্যাটট্রিকটা করে ফেলতে পারতেন, যদি না ফাঁকা পোস্টে উড়িয়ে মারতেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে!

গত মৌসুমে লিগ টেবিলের ১৩ নম্বর দলের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয়, উপলক্ষটা বিশাল না হলেও মৌসুমের প্রথম ম্যাচটি বড় ব্যবধানে জেতাটাই বাড়িয়ে দিয়েছে আনন্দের মাত্রা। কোচ আনচেলত্তির কথায় সেই আনন্দেরই ছোঁয়া, ‘আমি খুবই খুশি, দল খুবই ভালো খেলেছে, শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে নিয়ে নিয়েছে।’ লেভানদোস্কিও জানালেন, ‘আমি গোল করায় দল জিতেছে, এতেই খুশি।’ ডর্টমুন্ড থেকে বায়ার্নে আসা ম্যাটস হুমেলসের বায়ার্নের হয়ে বুন্দেসলিগায় অভিষেক হলো শুক্রবারেই। বেনফিকা থেকে কেনা পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রেনাতো সানচেস ছিলেন বেঞ্চেই। ইউরো মাতানো এই পর্তুগিজকে দর্শকের ভূমিকাতেই রেখেছিলেন আনচেলত্তি।

লিভারপুলের পারফরম্যান্স গ্রাফটা হৃদরোগীর ইসিজি রিপোর্টের মতোই উত্থানপতনে ভরা। আর্সেনালের সঙ্গে অমন জয়ের পর বার্নলির কাছে হার, লিগ কাপের ৫-০ গোলে জয়ের পর কাল টটেনহামের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি। হোয়াইট হার্ট লেনে জেমস মিলনারের পেনাল্টির বদৌলতে এগিয়ে গেলেও ড্যানি রোজের সমতাসূচক গোলে খেলার ফল ১-১ সমতা। বক্সের ভেতর এরিক লামেলা ফাউল করেছিলেন রবার্তো ফিরমিনোকে, সেই সুবাদে পেনাল্টি থেকে মিলনারের গোল। ব্যবধানটা দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো আর সাদিও মানে। কৌতিনিয়োকে ফিরিয়েছেন স্পারদের ডাচ গোলরক্ষক মাইকেল ফর্ম, অবিশ্বাস্য এক সেভে। আর মানের গোলটা মেনে নেননি রেফারি, কারণ লাইনসম্যান উঁচিয়েছেন অফসাইডের পতাকা। ৭২ মিনিটে রোজের গড়ানো শটটি জালে গিয়েই সমতায় ফেরায় স্পারদের, যার  সুবাদে দুই দলের পয়েন্ট ভাগাভাগি। গোল ডটকম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews