রংপুর গিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে দলের সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে, আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন উপলক্ষে খালেদা জিয়া নিজে রংপুর যাচ্ছেন না। এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) শূন্য হওয়া মেয়রপদে উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেখেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। রবিবার সাড়ে ৯ টা থেকে  সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।

বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার মামলা মোকাবিলা, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, ডিএনসিসি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও প্রার্থী নির্বাচন চূড়ান্ত করা হয়নি।  

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কমিটির বৈঠকে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় রংপুর সিটি করপোরেশন ও ডিএনসিসি নির্বাচনের বিষয়টি ছিল। বৈঠকে বলা হয়েছে, দলের সিনিয়র নেতারা যেন রংপুর গিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনও প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়নি। এই নির্বাচনের আরও অনেক সময় বাকি। প্রার্থী নির্ধারণেরও আরও সময় আছে।’

তবে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, ‘ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তো গত নির্বাচনের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল আছেন। স্থায়ী কমিটির আলোচনায় সদস্যরা চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচনের জন্য দলের চেয়ারপারসনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈঠকে ডিএনসিসি ও রংপুর সিটি নির্বাচন এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে প্রার্থী কে হবেন, তা দলের চেয়ারপারসনই চূড়ান্ত করবেন।’ 

রবিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসর মাহমুদ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘লন্ডনে থাকায় তারেক রহমান ও ভারতে চিকিৎসাধীন থাকায় সালাউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews