তল্লাশির সময় এক সেনা কর্মকর্তা সামিরের হাতে থাকা ট্যাটু দেখে জিজ্ঞেস করেন, এটা কী?’

ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার প্রশ্ন শুনে সামিরের বুক ধড়ফড় করতে থাকে। তিনি বলছিলেন, ‘ভাগ্যিস, ওই কর্মকর্তা উর্দু পড়তে পারেন না। আরেকটু হলেই বিপদে পড়ে যেতাম। তখনই বুঝেছিলাম, এই ট্যাটুর জন্য আমি বড় বিপদে পড়তে পারি।’

সামির বলেন, ‘যখন তিনি তরুণ ছিলেন, তখন এটা ছিল শক্তির প্রতীক, যেন কিছু একটা বোঝাতে চাইছি। কিন্তু এখন এটি ভুল হিসেবে দেখি। এটা এখন আর আমার প্রতিনিধিত্ব করে না। এই ঝুঁকি নেওয়ার মতো আর কিছুই এতে নেই। বরং এটা আমার ভবিষ্যতের পথে বাধা।’

ট্যাটু এখন আর গর্ব নয়, বরং ভয়। সামির কেবল একা নন। তাঁর মতো অনেক কাশ্মীরি তরুণই এখন ট্যাটু মুছে দিচ্ছেন। এগুলো একসময় তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ, আবেগ বা পরিচয়ের প্রতিচ্ছবি ছিল। আগে যেসব ট্যাটু ছিল গর্বের বিষয়, এখন সেগুলো নীরবে, চুপচাপ মুছে ফেলা হচ্ছে।

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাম শহরে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই পর্যটক। এরপর দুই দেশ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews