টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বন্দি বিনিময় করলো ইউক্রেন এবং রাশিয়া। শনিবার (২৪ মে) দুদেশের পক্ষ থেকে ৩০৭ জন করে ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার তথ্য পৃথকভাবে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, আগামীকাল আরও বেশি সংখ্যক বিনিময় হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে সকল ইউক্রেনীয়কে ছাড়িয়ে আনা।

এই বন্দি বিনিময়কে শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাব্য সূচনা বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে একটি নতুন পর্ব শুরু হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানে ১৬ মে ইস্তানবুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, দুদেশের পক্ষ থেকে এক হাজার করে মোট দুহাজার বন্দী বিনিময় করা হবে।

পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন হলে, রাশিয়া-ইউক্রেনের তিন বছরের যুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে।

শনিবার বিনিময়ের পর মুক্তিপ্রাপ্তদের প্রতিক্রিয়া সম্বলিত ফুটেজ প্রকাশ করেছে জেলেনস্কির কার্যালয়। সেখানে দেখা যায়, মুক্তিপ্রাপ্ত ইউক্রেনীয় সেনারা বাসে করে দেশে ফিরছেন, একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন এবং নীল-হলুদ ইউক্রেনীয় পতাকায় নিজেদের পিঠে চাপিয়েছেন।

একজন সেনাকে কাঁদতে দেখা যায়, যাকে সামরিক পোশাক পরিহিত নারী সেনা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার প্রথম ধাপে উভয় দেশের পক্ষ থেকে ২৭০ জন করে সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ শুক্রবার বলেন, বন্দি বিনিময় সফলভাবে সম্পন্ন হলে ইউক্রেনকে একটি খসড়া শান্তিচুক্তি ধরিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকবে রাশিয়া। সেখানে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির শর্তাবলি উল্লেখ থাকবে।

এদিকে, শনিবার একদিকে যখন দুদেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় হচ্ছে, সেদিনই রাতভর রুশ হামলায় কিয়েভে অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews