ফেরদৌস-জিনিয়ার ছোট সংসার আলো করে মাত্র কিছু দিন আগে ফুটফুটে একটি ছেলে হয়েছে। সুখের সংসারে সন্তান নিয়ে সময় চলে যায় তাদের। হঠাৎ করেই করোনার থাবা, ফেরদৌস প্রথমে আক্রান্ত হলেন, এরার তিন দিন পরেই জিনিয়ারও করোনা পজিটিভ। নিজেদের চেয়ে তাদের চিন্তা ছোট শিশুটিকে নিয়ে।
এদিয়ে সুমনা-মিনহাজের অবস্থা আরও খারাপ। এই দম্পতির দু’সন্তান। বড়টির বয়স তিন আর ছোটটির মাত্র দেড় বছর। বাবা মা দু’জনই যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, তখন সব থেকে কঠিন হয় সন্তানদের সুরক্ষা, তাদের যত্ন নেওয়া ও করোনা থেকে রক্ষা করা।
করোনা ছোঁয়াচে রোগ, তাই বাড়ির কেউ আক্রান্ত হলেই নিতে হচ্ছে সর্বোচ্চ সতকর্তা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি বাবা-মা দু’জনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তবে দ্রুত শিশুদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আর শিশুদের জন্য নিতে হবে বেশ কিছু ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে:
•
আক্রান্ত বাবা-মা প্রথমেই মানসিক শক্তি ধরে রাখুন
•
নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত কারো কাছে শিশুকে রাখার ব্যবস্থা করুন
•
শিশুদের বাড়ির বাইরে না নেওয়া
•
পরিবারের বাইরের কারও কাছে না দেওয়া
•
মায়ের অবর্তমানে যিনি শিশুর দেখা-শোনা ও যত্ন করবেন তাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
•
শিশুকে সময়মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো
•
ছোট শিশু বাবা-মায়ের কাছে যেতেই চাইবে, কিন্তু সুস্থতার কথা ভেবে তাকে দূরেই রাখতে হবে
•
মাঝে মাঝে ভিডিও কলে দেখে নিতে হবে সন্তান কেমন আছে, কথাও বলতে হবে
•
শিশুদেরও সম্ভব হলে মাস্ক পরিয়ে রাখতে হবে
•
বার বার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে দিতে হবে
•
চোখেমুখে হাত দেওয়ার দরকার হলে যেন অবশ্যই তারা হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নেয়।
বড়দের তুলনায় শিশুদের মধ্যে করোনার প্রকোপ কম। তারপরও বাবা-মা মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে অসুস্থ হলে শিশুদেরও বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ছোটদের জ্বর-হাঁচি, কাশি, ডায়ারিয়া ও বমির মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এসআইএস