লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্যাতনে সানিম হোসেন (৭) নামে এক ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমানকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার বিকালে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী আল মঈন ইসলামী একাডেমি নামে একটি মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

নিহত ছাত্র ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র এবং জেলার রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির ও জয়নবী বেগমের সন্তান।

মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা বশির উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে সামির হোসেন নামে হিফজ বিভাগের ছাত্র সানিম টয়লেটে প্রবেশ করার পর দীর্ঘ সময় পরও বের হয়নি। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, সে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় টয়লেটের ভেতর ঝুলে আছে। শিক্ষকরা তাকে নামিয়ে আনার পর দেখা যায়, তার মৃত্যু হয়েছে। তাকে কোনও প্রকার নির্যাতন করা হয়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনসহ অনেকেই দাবি করেছেন, এ মাদ্রাসায় শিক্ষকরা ছাত্রদের যৌন নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতন করে থাকেন। গত সপ্তাহে মোহাম্মদ ফরহাদ (১৩) জমি নামে হিফজ বিভাগের এক ছাত্রকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা ওমায়েরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তারপরও ছাত্রদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।

নিহত মাদ্রাসা ছাত্র সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেন, তার সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করে ঘটনা আড়াল করতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি তার শিশুসন্তান হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন, ‘ছেলেটিকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় বাথরুমে পাওয়া গেছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে, তাকে সকাল বা দুপুরে মারধর করা হয়েছে। মাদ্রাসা থেকে মাহমুদুর রহমান নামে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহত ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews