দেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চালাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে রাজধানী ঢাকায় আরও পাঁচটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- ইব্রাহীমপুরের হাবিবউল্লাহ রোডে অবস্থিত হেলথ কেয়ার ইউরোলোজি অ্যান্ড জেনারেল হসপিটাল, মিরপুরের বাউনিয়া বাঁধ এলাকার হলি হোম, মিরপুর সাড়ে এগারোতে অবস্থিত ফেয়ার নার্সিং হোম, মিরপুর সেকশন-১১-তে অবস্থিত শেখ সেবা মেডিকেল হল এবং মিরপুর-১০ এর আল শাফি হাসপাতাল।
এর আগে অভিযানের প্রথম দুই দিনে ঢাকা মহানগরীতে বন্ধ করা হয় ১৫টি প্রতিষ্ঠান। তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে সর্বমোট বন্ধ করা হয়েছে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠান, জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বন্ধ করা প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে অভিযানের প্রথম দুই দিনে ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৮ বিভাগে ৫২৪ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
এদিকে দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা নিয়ে আইসিডিডিআর,বি (উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) দিয়েছে পিলে চমকানো তথ্য। সংস্থাটির গবেষণা বলছে, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে শুধু ৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কাগজে-কলমে বৈধ নিবন্ধন রয়েছে। এমনও কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, যারা নিবন্ধনের জন্য কখনোই আবেদন করেনি, তা প্রায় ১৪ শতাংশ (১৬১টি)।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আইসিডিডিআর,বি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন। ২০১৯-২০ সালে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার সাতটি শর্ত মানতে হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গেলে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়, যে কারণে কোয়ালিটি স্বাস্থ্যসেবা দিতে সমস্যা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার সহকারী পরিচালক দাউদ আদনান বলেন, কী যোগ্যতা থাকলে বেসরকারি হাসপাতাল নিবন্ধন পাবে- বর্তমানে এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই। যে কারণে যে কেউ চাইলে বেসরকারি হাসপাতালে নিবন্ধন চাইতে পারেন। পরিস্থিতি পরিবর্তনে আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি করতেও অনেক সময় লাগে।