গত বছর ঠিক এই দিনে (২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি) বেশ বড় একটি ঘোষণা দিয়ে উদ্বোধন করা হয় নায়করাজ রাজ্জাকের নামে ওয়েবসাইট।
তারপর? একেবারে ‘তথৈবচ’ অবস্থা!
মাঝে দুটি বছর পার হলেও সেই ওয়েবসাইটে নায়করাজের একটি স্থিরচিত্র আর জন্ম-মৃত্যুর সন লেখা ছাড়া কোনও কিছুই যুক্ত হয়নি!
২০১৬ সালে সাইটটির কাজ শুরু করে ‘আনুন আইসিটিএম’- নামের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান। নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে তারা কাজটি শুরু করে। কিন্তু চোখে পড়ার মতো কিছু আর হয়ে ওঠেনি।
বিষয়টি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন কথা বলার চেষ্টা করেছে নায়করাজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পর ফয়সাল নামের একজন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেন। আমি বাপ্পা ভাইয়াসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নম্বর তাকে দিই। এরপরের আপডেট আর জানি না। আসলে বাবার মৃত্যুর পর আমরা মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলাম। পরে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’
সাইটটির অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হয় ‘আনুন আইসিটিএম’-এর সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ব্যক্তি মঈন হাসানের সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের। তিনি বলেন, ‘নিজেদের ভালোবাসা থেকে নায়করাজের এ সাইটটি আমরা করতে চেয়েছি। এজন্য বেশ দৌড়ঝাঁপও করেছি। কিন্তু নায়করাজের পরিবার আমাদের সেভাবে সহযোগিতা করতে পারেননি। তারা হয়তো নানাভাবে ব্যস্ত ছিলেন। সম্রাট ভাই আমাদেরকে সাংবাদিকদের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন। দু’একজন ছাড়া কারও কাছে তথ্যগত সহযোগিতা পাইনি। এমনকি সরকারি তথ্য ভাণ্ডারেও খুব একটা তথ্য নেই। তাই আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি।’
তাই বলে ছবি ছাড়া কোনও তথ্যই কি রাখার মতো পাওয়া যায়নি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছি পরিবার বা নায়কের কাছের কেউ একজন তথ্য যাচাই করে দিক। এমন হয়েছে কেউ বলেছেন উত্তরা যেতে, আমরা গিয়েছি। আবার পল্টনে বললে সেখানেও গিয়েছি। কিন্তু এ পর্যন্তই। আর ভেরিফিকেশন ছাড়া সাইটে তথ্য দেওয়াটা যৌক্তিক নয়। তাই আর কাজ এগোয়নি! আমরা চাই পরিপূর্ণ সাইট হোক।’
নায়করাজ রাজ্জাক/ ছবি: সংগৃহীততাহলে সাইটের ভবিষ্যৎ কী- এমনটি জানতে চাওয়া হলে তিনি শিগগিরই কাজ শুরুর কথা বলেন। তবে সেটা আদৌ হবে কিনা সে বিষয়ে তিনিও বেশ সন্দিহান।
এদিকে নায়করাজের মৃত্যুর পর পরই তাঁকে নিয়ে একটি ফেসবুক ফ্যান পেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিনোদন সাংবাদিক। সেটিরও কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
সেই উদ্যোক্তাদের অন্যতম সুদীপ্ত সাঈদ খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরিবার আসলে কী চায়, আমরা সেটাই করবো। তাদের অনুমতি ছাড়া তো আমরা কিছু করতে পারি না। আমি বাপ্পা (নায়ক বাপ্পারাজ) ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আসছে সপ্তাহে তিনি হয়তো এ বিষয়ে আবার বসবেন। তিনি অনুমতি দিলে হবে পেজটি, না দিলে হবে না।’

প্রসঙ্গত, ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্ম নেওয়া বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপটে দাপট দেখানো এ নায়ক গত বছরের (২০১৭) ২১ আগস্ট রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews