বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রায় একশো ঝুঁপড়ি ঘর। বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকায় ওইসব ঝুঁপড়ি ভেঙে দেয়ার ফলে ঘরহারা কয়েকশো মানুষ। তাদের দাবি, প্রমাণ চান দেখুন, আমরা কিন্তু বাংলাদেশি নই।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি। দাবি করা হয় বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকায় অবৈধভাবে একটি বস্তি গড়ে তুলেছে বাংলাদেশিরা। তার পরেই ওই বস্তি ভেঙে ফেলে বেঙ্গালুরু মহানগর পুলিশ।

পৌরসভার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই অবৈধ বস্তি গড়ে ওঠার ফলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই রোববার বস্তিটির একশো ঝুঁপড়ি ভেঙে ফেলা হয়।

যাদের ঘর ভাঙা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ত্রিপুরা কিংবা আসামের নাগরিক। এ ছাড়াও রয়েছেন বেঙ্গালুরুর কয়েকজন। বুলডোজার দিয়ে ঘর ভাঙা হয়েছে আসমের বাসিন্দা মুন্নির। তিনি বলেন, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই বস্তিতে এসে ঘর ভাঙতে শুরু করে পুলিশ। ঘর থেকে মালপত্র বের করতে সময় পাইনি। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ভেবে এসব করেছে পুলিশ। কিন্তু ওরা কেন আমাদের নথিপত্র দেখছে না!

চার বছর আগে আসাম থেকে ওই বস্তিতে এসেছিলেন মহম্মদ আসাদ-উল। তিনি বলেন, আমরা এখানে সিকিউরিটি গার্ড ও ঝাড়ুদারের কাজ করি। পুলিশ যদি মনে করে আমরা অবৈধ নাগরিক তাহলে তাদের উচিত আমাদের নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা।

এদিকে, পীড়িতদের পক্ষে আইনজীবী বিনয় শ্রীনিবাস বলেন, যেভাবে বস্তি ভাঙা হয়েছে তা একেবারেই বেআইনি। বস্তি ভাঙার কোনো নির্দেশেই ছিল না তাদের কাছে। পুলিশ ওই বস্তির মালিকদের কাছে নোটিশ দিয়ে বলে, ওখানে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা থাকে। ওদের সরিয়ে দিতে হবে। ওই নোটিশ অবৈধ। পুলিশ নোটিশ দিতে পারে না।

এমআরএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews