প্রাগে মঙ্গলবার রাতে প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩-১ গোলে হারায় ব্রাজিল। গত শনিবার পানামার সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল তিতের দল।
প্রথমার্ধে বল দখলে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল; কিন্তু আক্রমণে আধিপত্য করে স্বাগতিকরা। প্রথম উল্লেখযোগ্য দুটি সুযোগও পায় তারা।
২২তম মিনিটে রোমার ফরোয়ার্ড পাত্রিক শিকের নিচু ফ্রি কিকে বল এক জনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছিল। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকান গোলরক্ষক আলিসন। ১০ মিনিট পর সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে ডিফেন্ডার ভ্লাদিমির ঠিকমতো হেড করতে ব্যর্থ আবার বেঁচে যায় ব্রাজিল।
৩৭তম মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেনি ব্রাজিল। সতীর্থের পাস ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োসের পায়ে লেগে ফাঁকায় পেয়ে যান দাভিদ পাভেলকা। একটু এগিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নিচু শটে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটেই প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে সমতায় ফেরান ফিরমিনো। ডিফেন্ডার গেব্রে সেলাসির উদ্দেশহীন ব্যাকপাস ডি-বক্সে পেয়ে নিচু শটে জাল খুঁজে নেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
৮৩তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে দলকে এগিয়ে দেন জেসুস। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান দিকে পাস দেন আয়াক্সের ফরোয়ার্ড দাভিদ নেরেস। আর ছোট ডি-বক্সের মধ্যে প্রথম ছোঁয়ায় জাল খুঁজে নেন কিছুক্ষণ আগে ফিলিপে কৌতিনিয়োর বদলি নামা জেসুস।
আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন জেসুস। ডি-বক্সে আলানের ছোট পাস ধরে ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ডের নেওয়া প্রথম শট রুখে দেন গোলরক্ষক; কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। আলগা ফিরতি শটে জালে পাঠান জেসুস।
রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর টানা ছয় ম্যাচ জিতে বছর শেষ করেছিল ব্রাজিল। তবে এ বছরের প্রথম ম্যাচে পানামার বিপক্ষে হোঁচট খাওয়ার ম্যাচে তিতের শিষ্যদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। চেক রিপাবলিকের মাঠেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি নেইমারকে ছাড়া খেলতে নামা দলটি। তারপরও শেষ দিকে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে ঠিকই কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিল তারা।