সৌদি আরবের প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে জীবিত থাকতেই তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। সৌদি কনসাল জেনারেলের পড়ার টেবিলের ওপর যখন তার ওপর হামলা চালানো হয়, এর সাত মিনিট পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিলেন।

একটি অডিও রেকর্ডিংয়ের বরাতে বুধবার এসব তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

সূত্রটি জানায়, খাশোগিকে কোনো রকম জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করা হয়নি। তাকে খুন করাই ছিল হত্যাকারীদের মূল উদ্দেশ্য এবং তারা তাই করেছেন।

গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর হত্যা করা হয় খাশোগিকে। এ সময় খাশোগির হাতে অ্যাপল ওয়াচের রেকর্ডিং চালু ছিল। মৃত্যুকালীন অ্যাপল ওয়াচের রেকর্ডকৃত কথোপকথন তাদের হাতে এসেছে।

সূত্রটি বলছে, খাশোগিকে টেনেহিঁচড়ে কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে পাশের রুমের একটি টেবিলের কাছে নেয়া হয় এবং সেখানেই তাকে টুকরো টুকরো করা হয়।

অডিও রেকর্ডে খাশোগির চিৎকার শোনা গেছে। তার চিৎকার বন্ধ করতে শরীরে চেতনানাশক ওষুধের ইনজেকশন দেয়া হয় এবং এর কিছুক্ষণ পর তিনি নীরব হয়ে যান।

মঙ্গলবার তুর্কি পুলিশ বলেছিল, ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে হত্যা করা হয় এবং কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এ বিষয়ে তাদের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে। তুর্কি পুলিশের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে অজ্ঞাত এ সূত্রটি এ দাবি করেছে।

একই দিন তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, পুলিশ বিশ্বাস করে খাশোগিকে নির্মমভাবে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসও তাদের প্রতিবেদনে একই তথ্য দেয়।

তুরস্কে থাকা সৌদি কনস্যুলেট থেকে জামাল খোশেগির নিখোঁজ হওয়ার পর সবার সন্দেহের তীর সৌদি আরবের দিকেই। তুরস্ক বলছে, খাশোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করার যথেষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে আছে।

কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে হত্যার অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে সৌদি সরকার। যদিও আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে- খাশোগিকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। স্বীকারোক্তিমূলক ওই প্রতিবেদনে সৌদি আরব বলছে- জিজ্ঞাসাবাদের সময় মৃত্যু হয়েছে খাশোগির।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews