রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তরমুজ খাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। ছবিঃ অর্থমন্ত্রীর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য আসার পথে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তরমুজ খেলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুুপুরের দিকে অর্থমন্ত্রীর ফেসবুক পেইজে ৪টি ছবি পোস্ট করা হয়।
মুহূর্তেই এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত এতে লাইক পড়েছে ৮ হাজার। কমেন্টস করেছেন ৫০৪ জন। ছবিগুলো শেয়ার করেছেন ৬৪৬ জন।
জানা যায়, অর্থমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেলা ১১টার দিকে সড়ক পথে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। দুপুরের দিকে মন্ত্রী কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হঠাৎ করে তার গাড়িবহর থামান। এ সময় রাস্তার পাশে এক ব্যক্তিকে তরমুজ বিক্রি করতে দেখেন মন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে তরমুজ বিক্রেতাকে ডাক দেন তিনি।
আশপাশের লোকজন অর্থমন্ত্রীর গাড়িবহর থামতে দেখে অবাক হন। পাশাপাশি ভয়ও পেয়ে যান তরমুজ বিক্রেতা। অর্থমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন তরমুজ বিক্রেতা। বিক্রেতাকে অর্থমন্ত্রী জানান তিনি তরমুজ খেতে চান। বিষয়টি শুনে হেসে দেন তরমুজ বিক্রেতা। তিনি তরমুজ আনতে এগিয়ে যান। এ সময় অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এক কর্মকর্তা গিয়ে তরমুজ নিয়ে আসেন। গাড়িতে বসেই তরমুজ খান অর্থমন্ত্রী।
মহাসড়কে গাড়িবহর থামিয়ে তরমুজ খাওয়ার এসব ছবি মঙ্গলবার দুুপুরে নিজের ফেসবুকে দেন অর্থমন্ত্রী। নিজের ফেসবুক পেজে চারটি ছবি পোস্ট করে অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ঢাকা থেকে কুমিল্লার পথে’। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকেই এতে লাইক, শেয়ার ও ইতিবাচক কমেন্টস করেছেন।
আরও পড়ুনঃ জেরেমি করবিনের উপর ডিম হামলাকারীর কারাদণ্ড
প্রসঙ্গত: এর আগে দশম সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী থাকাকালে মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মেশিনে ধান মাড়াই, জাল মেরে মাছ ধরা, মোটরসাইকেলে চড়ে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে সাংগঠনিক সভায় ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং দরিদ্রজনের ঘরের দরোজায় বসে পিঠা খেয়ে বেশ আলোচিত হন। তার ওইসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছিল।
ইত্তেফাক/নূহু