জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যা প্রায় দুই বছরে গাজার কমপক্ষে ২১ হাজার শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছে।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবন্ধী অধিকারসংক্রান্ত কমিটি (সিআরপিডি) বুধবার ঘোষণা করেছে, গাজায় যুদ্ধের সময় প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ শিশু ‘যুদ্ধ-সম্পর্কিত নতুন আঘাতের’ শিকার হয়েছে, যার অর্ধেকেরও বেশি স্থায়ী প্রতিবন্ধী হয়েছে।
এদিকে, ‘খাদ্য নিরাপত্তা পর্যায়ের সমন্বিত শ্রেণীবিন্যাস’র প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ গাজায় পাঁচ বছরের কম বয়সী কমপক্ষে ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা ২০২৫ সালের মে মাসের পূর্বাভাসের দ্বিগুণ।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারবিষয়ক কমিটি এক বিবৃতিতে গাজা ও পশ্চিমতীরে প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা এবং সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।
কমিটি বলেছে, গাজা ও পশ্চিমতীরে বিশেষায়িত পরিষেবা, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সহায়ক ডিভাইসের অভাব প্রতিবন্ধী শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে দুর্ভিক্ষ, তীব্র অপুষ্টি এবং সুপেয় পানির অভাবের কারণে মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের এই কমিটি আরো বলেছে, প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষায় ধারাবাহিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু করেছে। ওই যুদ্ধের ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মারাত্মক দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানানোর প্রস্তাব, সেইসাথে গণহত্যা প্রতিরোধ ও মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ইসরাইল তাদের অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র : পার্সটুডে