হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা শুক্রবার ইসরাইলের অতি গুরুত্বপূর্ণ বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে আবারও ‘হাইপারসনিক’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি তাদের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
ইয়েমেনি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এদিন এক টেলিভিশন বিবৃতিতে এ হামলার ঘোষণা দেন।
বার্তা সংস্থা আনাদোলু প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি বাহিনী তেলআবিবের বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই হামলা ‘সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলার ফলে লাখ লাখ অবৈধ ইহুদি বসতিস্থাপনকারী নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়’।
এর আগে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়েমেন থেকে মধ্য ইসরাইলের দিকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
ইয়েমেনি বাহিনী দাবি করেছে, তারা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দিকে ছুড়েছে। যার মধ্যে টানা দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে নিক্ষেপ করা হয়।
তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এই হামলাগুলোর ফলে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর দেয়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলের প্রাণঘাতী আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনি বাহিনী ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা বাড়িয়েছে। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৩,৮২২ জন নিহত হয়েছে।
এর আগে, গাজায় চালানো আগ্রাসনের জবাবে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজেও অব্যাহতভাবে হামলা চালায় হুথিরা। তবে গত ৬ মে ওমানের মধ্যস্থতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুথিদের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেন। যা ছিল ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মতে ‘অপ্রত্যাশিত’।