বর্তমান যুগে মোবাইল, কম্পিউটার ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। এর সাথে সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানিও বাড়ছে। সাইবার বুলিং মানে হলো অনলাইনে কারো প্রতি হুমকি, গালাগালি, অপমান বা ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন বেশি হচ্ছে। অনেকে তাদের ছবি বা ভিডিও এডিট করে ছড়িয়ে দেয়, যা ভুক্তভোগীদের জন্য বড় মানসিক চাপ তৈরি করে। সাইবার বুলিংয়ের প্রভাব অনেক গভীর। এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা তাদের শিক্ষাজীবন ও স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাস হারায়, মনোযোগ কমে যায় ও পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলিং সেবা চালুর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং আগামী সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে সরকারিভাবে সাইবার বুলিং বিষয়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বুলবুলি হাঁসদা
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।