ছবির উৎস, Reuters

ছবির ক্যাপশান,

পশ্চিম দারফুরের যেখানে ভূমিধস হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেখানে ২০২৩ সালে সংঘাত শুরুর পর থেকে আট লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে যান

পশ্চিম সুদানের প্রত্যন্ত মারারা পর্বতমালায় ভূমিধসে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি।

এক বিবৃতিতে এই গোষ্ঠীটি বলেছে, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রোববার ভূমিধস হয়, যার ফলে মাত্র একজন বেঁচে যান এবং তারাসিন গ্রামের বেশিরভাগ অংশ ‘সমতল’ হয়ে যায়।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে তারা।

তবে সেখানে কমপক্ষে ৩৭০ জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা। সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিট্যারিয়ান কো-অর্ডিনেটর আন্তোইন জেরার্ড বলেছেন, এই ঘটনার মাত্রা বা সঠিক মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ এলাকাটি দুর্গম।

সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে যুদ্ধের পর উত্তর দারফুরের অনেক বাসিন্দা মারারা পর্বত অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

দারফুরের সেনাবাহিনী-সমর্থিত গভর্নর মিন্নি মিন্নাউয়ি ভূমিধসকে ‘মানবিক ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-এর মধ্যে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তাতে দেশটি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে।

গৃহযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যায়, তবে গত বছর একজন মার্কিন কর্মকর্তা ধারণা দিয়েছিলেন যে ২০২৩ সালে অস্থিরতা শুরুর পর থেকে দেড় লাখের মতো মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews