দক্ষিণের অনবদ্য অভিনেতা যিনি ‘মাক্কাল সেলভান’ বিজয় সেতুপতি, ‘৯৬’, ‘সুপার ডিলাক্স’, ‘বিক্রম বেদা’ এবং ‘জাওয়ান’-এ অসাধারণ অভিনয় করে কোটি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন— তবে এবার এক নারীর পোস্ট ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন এই অভিনেতা। স্যোশাল হ্যান্ডেল এক্সে রাম্যা মোহন নামের ওই নারী দাবি করেছেন, বিজয় সেতুপতি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সেই অন্ধকার অংশ, যা এতদিন চুপচাপ চলেছে ‘নিয়ম’ বলে।
ওই অভিযোগকারীর ভাষ্যে, ‘এক মেয়েকে আমি চিনি, যিনি এখন মিডিয়ায় পরিচিত মুখ। তাকে এমন এক দুনিয়ায় টেনে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে সে কখনো প্রস্তুত ছিল না। বিজয় সেতুপতি তাকে ‘কারাভ্যান ফেভার’-এর জন্য ২ লাখ ও ‘ড্রাইভ’-এর জন্য ৫০ হাজার টাকা অফার করেছিলেন। অথচ সেই মেয়েটিকে বছরের পর বছর ব্যবহার করা হয়েছে। এখন সে রিহ্যাবে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।’
পোস্টে দাবি করা হয়, সেই মেয়েটির পরিবার যখন তার ডায়েরি ও চ্যাট পড়ে পুরো সত্যটা জানতে পারে, তখন তারা ভেঙে পড়ে। রাম্যা আরও লেখেন ‘মানুষ সত্যটা জানতে চায় না। তারা বরং উৎস খোঁজে, ভিকটিমকে দোষ দেয়। এটা কোনো সিনেমার গল্প নয়। এটা ছিল এক জীবন্ত নারীর কান্না।’
এদিকে পোস্টটি ভাইরাল হতেই রাম্যা তা মুছে দেন। জানান, বন্ধু তথা ভিকটিমের গোপনীয়তা রক্ষা করতেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, মামলা বা সরাসরি ভিকটিমের নাম প্রকাশ পায়নি এখনো।
তবে এমন গুরুতর অভিযোগ ঘিরে দেশটির বিনোদন জগতে চলছে নানা বিতর্ক। কেউ কেউ বলছে, সত্য উন্মোচনের সময় এসেছে। অন্য অংশ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত ক্যাম্পেইন। যদিও এখন পর্যন্ত বিজয় সেতুপতির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি।
তবে বিতর্কের তাপে আরও একবার সামনে এসেছে ২০১৭ সালের একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে সেতুপতি বলেছিলেন, ‘কাস্টিং কাউচ একটা ঘৃণাজনক ব্যাপার। এটা দুর্নীতিগ্রস্ত মানসিকতার ফল।’ তাহলে প্রশ্ন ওঠে—যে নিজেই কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে বলেছিলেন, তিনি কি আজ সেই একই কাহিনির চরিত্র হয়ে গেলেন?
উল্লেখ্য, ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী জেসি ও দুই সন্তানের পিতা বিজয় সেতুপতি কি এবার শুধুই একজন অভিযুক্ত? নাকি ‘নায়ক’ চরিত্রের মুখোশ একে একে খসে পড়ছে…?