মানুষ ভুল করবেই। কর্মক্ষেত্রেও একজন কর্মী নানা ভুল করে।
কোনো কোনো ভুলের পর ওই কর্মীকে আক্ষেপ করতে হয় 'ইশ, আগে যদি বুঝতাম' বলে। আগে থেকেই যেন একজন কর্মী সম্ভাব্য ভুলগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন, সে জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরামর্শগুলো কর্মক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে...
সবাই উদারমনা নয়
কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়া মাত্রই অন্য সব সহকর্মী সাদরে গ্রহণ করে নেন। তাঁদের আচরণে মনে হয়, প্রতিষ্ঠানের সবাই খুব উদার ও আন্তরিক। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই ভুল ভাঙে। আর এই ভুল ভাঙার আগেই হয়তো অনেক খেসারত দিতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, একটি প্রতিষ্ঠানের সব সহকর্মী আন্তরিক নাও হতে পারেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
অনেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন যে ব্যক্তিগত অনেক তথ্যও আদান-প্রদান করে থাকেন। কিন্তু এতে ঘটতে পারে বিপত্তি।
এ বিষয়গুলো বেশির ভাগ সময়ই হিতে বিপরীত ঘটায়। নিজের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো অনেক সময় সহকর্মী ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেন। তাই সাবধান।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা
নতুন চাকরি পাওয়ার পর উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখা দেওয়া বিচিত্র কিছু নয়। সবাই মনে করতে থাকেন যে পেশাদারি পরিপক্বতা লাভের মাধ্যমে তরতর করে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেবেন। এর জন্য দরকার কোনো পরামর্শদাতা। মনে হয়, অফিসের কোনো কর্মকর্তা বা অভিজ্ঞ সহকর্মীই এসব কাজে এগিয়ে আসেন। আসলে বেশির ভাগ সময়ই তা ঘটে না। হয়তো দেখা যাবে, প্রিয় মানুষগুলো শেখাতে আগ্রহী নয়।
গসিপ
অনেকেই এ কাজে নিষ্ঠাবান হয়ে ওঠেন। এতে জনপ্রিয়তা মেলে। কিন্তু সম্মান মেলে না। গসিপ সব সময়ই ক্ষতিকর। তা গঠনমূলক হলেও অনেক সময়ই ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে।
বেতনের অঙ্কটাই সব নয়
বেশি বেতনে চাকরি শুরু করতে পারলে সবারই ভালো লাগে। এমনকি ওই কাজ ভালো না লাগলেও বেতনটাকেই মুখ্য মনে হয়। কিন্তু সবার আগে দরকার মনের মতো চাকরি। এটা আবার এত সহজে মেলে না।
কর্মক্ষেত্রের সামাজিকতা
অফিসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তাদের নানা আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করা উচিত। এতে অনেকের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে। সুযোগ বাড়বে। সেই সঙ্গে অফিস সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষা মিলবে। তাই কেবল কাজের টেবিলের সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকতে নেই।
দুই জীবনে দেয়াল
এই শিক্ষাটা সব পেশাজীবীই শেষ পর্যন্ত শিখতে পারেন। আগে থেকে শিখে নিলে যন্ত্রণা সইতে হবে না। তা হলো—অফিসের জীবন আর বাড়ির জীবনটাকে আলাদা করতে হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার