বাংলাদেশের শহর ও গ্রামে চির সবুজ টিয়া পাখির আনাগোনা বেড়েছে। গাছের সবুজ পাতার সঙ্গে মিশে যাওয়া পাখির নাম চন্দনা টিয়া। এ পাখির শরীরের সবুজ আর গাছের সবুজে একাকার প্রকৃতি। টিয়া সাধারণত ঝাঁক বেঁধে চলে। উড়তে উড়তে ডাকাডাকি করে। পাশাপাশি চারপাশ মুখরিত করে রাখে। এ পাখির শারীরিক তারুণ্যের এমন রং প্রকৃতির মাঝে বরাবরই যোগ করে আলাদা সৌন্দর্য। কয়েক দিন আগে শ্রীমঙ্গলের টিলা ও বনজঙ্গলের বেশির ভাগ গাছ-গাছালিতে চন্দনা টিয়া পাখির খোঁজ মিলেছে। রয়েছে শতাধিক বাসা। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের কয়েকজন সদস্য সেখানে গিয়ে এমন নান্দনিক দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। অনেকে বলেছেন, বিকালের নিভে আসা আলোর মাঝে টিয়াদের সম্মিলিত ক্রি-ত্যারের ডাক নিমেষেই কান ধাঁধিয়ে যায়। নীরবতায়  সেই ডাক যেন স্বর্গীয় এক অনুভূতি। বহু দূর থেকে ভেসে আসা তাদের শব্দধ্বনি অন্য মাত্রা যোগ করে চা বাগানের শ্যামল প্রকৃতিতে। চন্দনা পাখি গবেষক আজমল খান বলেন, ঢাকা শহরের বড় বড় গাছ-গাছালিতে চন্দনা পাখির বাসা রয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে শিশু একাডেমি, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাইকোর্ট ভবন অন্যতম। ঢাকার পাখিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি বড় সুখবর। এ শহরের বিভিন্ন গাছের খোঁড়লে বা কোটরে বাসা করে এবং ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটায় এ পাখি। গাছ ছাড়াও উঁচু ভবনের ফোঁকড় ও ফাটলে এরা অবস্থান নেয়। আট-দশ বছর ধরে এরা ঢাকা শহরে ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানান এ পাখি বিশেষজ্ঞ। এ ছাড়া বাংলাদেশে বন্য পশু-পাখির মধ্যে অধিকাংশ মানুষের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ হলো ময়না। তারপরেই রয়েছে টিয়া। এরপরের স্থানে রয়েছে ভাত শালিকসহ অন্য পাখি। তবে ভাত শালিকও কিন্তু কথা বলতে পারে। মানুষ এসব পাখিকে খাঁচায় বন্দী করে গৃহে পালন করতে চায়। তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এসব পাখি ধরা, পোষা ও মারা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ পাখির খাবার সম্পর্কে পাখি বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নানা রকম ফল, ধান ও পাকা মরিচ খায় এ পাখি। তবে কামরাঙা এদের প্রিয় খাবার। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব সূত্র জানায়, চন্দনা টিয়া বাংলাদেশের বিরল আবাসিক পাখি। এদের দৈর্ঘ্য ৫৩ সেন্টিমিটার। ডিসেম্বর-এপ্রিল এদের প্রজনন  মৌসুম। তখন একেক দম্পতি ৩-৪টি করে ডিম পাড়ে। ১৯-২০ দিন পর ডিম থেকে ছানা বের হয়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews