মোঃ ফরহাদ আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত বসতবাড়ি আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত ১৫ দিন থেকে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে তীব্র ¯্রােত দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন।
নদী ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও শত শত হেক্টর আবাদি জমি ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙ্গনকবলিত এলাকাগুলো হলো- কাপাসিয়া ইউনিয়নের পাগলাপাড়, টোনগ্রাম, খলিফাপাড়া, লাল চামার, কাজীপাড়া, ভাটি কাপাসিয়া, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল। নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হয়েছে উজান বুড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটি কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন এলাকার শত শত মানুষ ঘরবাড়ি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, আসবাপত্র নিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
অনেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। এদিকে বেলকা ইউনিয়নের বেলকা নবাবগঞ্জ ও কিশামত সদর মৌজা দুটি নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ায় তিন শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন সরকার ও বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত কয়েক দফা নদী ভাঙ্গনে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম গোলাম কিবরিয়া বলেন, কিছু কিছু নদী ভাঙ্গন এলাকা আমি পর্যবেক্ষণ করেছি। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুুষের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।