প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Print

  • ড. মোহাম্মদ হাসান খান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালীর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল ঈর্ষণীয়। মৃত্যুর এত বছর পরেও তাঁর জনপ্রিয়তা এতটুকু ক্ষুণœ হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। এর কারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এদেশের মানুষকে হাজার বছরের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছে। বিশ^বাসীও অভিভূত হয়েছে তাঁর অকুতোভয় চিত্ত ও সংগ্রামী মানসিকতায়। বিশ^নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন এবং সমীহ করতেন। ফিদেল ক্যাস্ত্রো, আনোয়ার সাদাতের মতো নেতারা তাঁর প্রশংসায় মুখর ছিলেন সবসময়। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা হাতে নেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাঁকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।

কথায় আছে, যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সন্তান এবং যোগ্য উত্তরসূরি। বঙ্গবন্ধুর অধরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি কাজ করছেন নিরলস। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজও সম্পন্নের দিকে। জনগণের মৌলিক অধিকার তিনি নিশ্চিত করেছেন। দেশে অনাহারি শিক্ষাবঞ্চিত মানুষ এখন নেই বললেই চলে। দেশের সব জেলাতে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, অফিস-আদালতের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। বিশ^কে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশ তৈরি হচ্ছে। এসব কাজে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। এ দেশে এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা ও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশু অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এককথায়, গত একযুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত চেহারায় যে পরিবর্তন এসেছে, তা অকল্পনীয়। বিশে^র কাছে বাংলাদেশ এখন দ্রুত ক্রমবর্ধমান রাষ্ট্রের একটি উদাহরণ। হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বলেছিলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। হেনরি কিসিঞ্জার এখন নিশ্চয়ই তাঁর বক্তব্যের জন্য লজ্জিত হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কার্যক্রম বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত। স্বল্প আয়তন কিন্তু বিপুল জনসংখ্যার এ রাষ্ট্রের উন্নয়ন নিয়ে রাষ্ট্রবিদরা সন্দিহান ছিলেন। মাত্র একযুগ আগেও খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা যায়নি। অনুন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সবাই দেখতো করুণার চোখে। কিন্তু বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে পৃথিবী এখন বিস্ময়ের চোখে দেখে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর ভয়াবহ পরিসংখ্যান ছিল এই দেশের। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার অনেক কমেছে। ২০১০ সালে শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ২০১১ সালে স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসে বিশেষ অবদানের জন্য ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, সাউথ সাউথ নিউজ ও জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কমিশন যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে ‘সাউথ সাউথ এ্যাওয়ার্ড : ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট হেলথ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। অন্যদিকে রাজনীতিতে নারী পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য ২০১৫ সালে শেখ হাসিনাকে ‘ডব্লিউআইপি গ্লোবাল এ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। অর্থাৎ নারী ও শিশুমৃত্যুরোধে বাংলাদেশের উদ্যোগ বিশে^ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত।

বাংলাদেশের ক্ষুধা-দারিদ্র্যের কথা বিশ^ব্যাপী প্রচলন ছিল। স্বাধীনতার অনেককাল পরেও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা যায়নি। শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে মনোনিবেশ করেন। এটি বঙ্গবন্ধুর অন্যতম স্বপ্ন ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায়। এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ১৯৯৯ ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এফএও থেকে তিনি ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বরাবরই সাহসী ও দূরদর্শী ছিলেন। তাঁর এ দূরদর্শিতার জন্য ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকন ওমেনস কলেজ তাঁকে ‘পার্ল এস বাক পদক’ প্রদান করে। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাঁকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করে।

গত একদশকে বাংলাদেশের পরিবর্তন বৈশি^কভাবে প্রশংসিত হয়েছে। শেখ হাসিনার চেষ্টায় বাঙালীর জাতীয় আন্দোলন সংগ্রাম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে উদ্যোগ নেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আজ বহুদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বড় একটি অর্জন। ১৯৭১ সালে রেসকোর্সে জাতির পিতার প্রদত্ত ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার উৎস। এ ভাষণ আমাদের মুক্তির মন্ত্র ছিল। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে বিশে^র গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণটি সম্পর্কে বিশে^র মানুষ আরও ভাল করে জানবে। এটিও আমাদের জন্য গৌরবের। ২০১৯ সালে ১৭ আগস্ট জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ^বন্ধু’ আখ্যা দেয়া হয়।

বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যদি হাল না ধরতেন তাহলে বাংলাদেশে বর্তমান সমৃদ্ধি আসত না। কারণ, বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য দলের রাষ্ট্রীয় কর্মকা- দেশকে এগিয়ে নেয়নি, বরং পিছিয়ে নিয়েছে। তাদের হাতে দেশ হয়েছে দুর্নীতি আর জঙ্গীবাদের আখড়া। বহির্বিশে^ বাংলাদেশ নানারূপে সমালোচিত হয়েছে। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা শক্তহাতে বাংলাদেশের হাল ধরেন। এ দেশকে ডিজিটাল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে রূপ দিয়েছেন। উন্নয়ন গবেষকরা ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত এই দশ বছরকে ‘উন্নয়ন দশক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত স্থলসীমা চুক্তির মীমাংসা, আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্র জয় করেছে। এটি দুটি কাজ হয়েছে কোনরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের শান্তি রক্ষায়ও বাংলাদেশের জোরালো ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বিশ^শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশে তাদের উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে।

লিঙ্গ বৈষম্যরোধ শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম সাফল্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লিঙ্গ বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ এখন বিশে^র কাছে আইডল। ২০১৭ সালের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স তালিকায় লিঙ্গ অসমতা দূরীকরণে এশিয়ায় দ্বিতীয় হয়েছে। নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেবিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশে^র জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’ জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচীতেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার অবস্থান বলিষ্ঠ। ধরতে গেলে এ কর্মসূচীর নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৭/০৮ সালে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ ছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ বিনিয়োগ এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ বাড়ছে। ১০ বছর আগে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার। যা বর্তমানে ৩৪.৮ ডলার। আমদানি ছিল ২২.৫ বিলিয়ন ডলার। যা বর্তমানে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত। এ উন্নয়ন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। অন্যদিকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবছরই বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতার সময় বার্ষিক রেমিটেন্স ছিল ৭.৯ বিলিয়ন ডলার। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কল্যাণে বর্তমানে সেটি প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। পৃথিবীর ১৬২টি দেশে ১৩ মিলিয়ন বাংলাদেশী কাজ করছে। প্রবাসে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বর্তমানে বিশ^নন্দিত প্রভাবশালী রাষ্ট্রপ্রধানে পরিণত হয়েছেন। তিনি ২০১১ সালে বিশে^র সেরা প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় ৭ম ছিলেন। ২০১০ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের জরিপে বিশে^র সেরা ১০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় শেখ হাসিনা ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। একই বছর বিশ^ নারী দিবস উপলক্ষে সিএনএন শীর্ষ ৮ এশীয় ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায়ও বঙ্গবন্ধুকন্যা ষষ্ঠ ছিলেন। বিশ^নেতৃত্ব এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রাখছেন। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘বৈশি^ক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা পুরো পৃথিবীর জন্য পথপ্রদর্শক।’

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা, মানবাধিকার, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দূরদর্শী নেতৃত্ব, উন্নয়ন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনা একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ২০০০ সালে ‘ডক্টর অব হিউম্যান লেটার্স’, ২০০৫ সালে পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া এবং ২০১০ সালে পিটাসবার্গ ইউনিভার্সিটির সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯, ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের হাউস অব কমন্সের ‘গ্লোবাল ডিভারসিটি এ্যাওয়ার্ড’, ২০১৩ সালের জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কোঅপারেশন-এর ‘সাউথ সাউথ পুরস্কার’, ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর শান্তিবৃক্ষ পদক, ২০১৩ সালে জাতিসংঘের ডিপ্লোমা এ্যাওয়ার্ড, ২০১৫ সালের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়ন এ্যাওয়ার্ড, ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার লাভ করেন, এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার, ২০১৬, প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, ২০১৬, গ্লোবাল উইম্যান লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড ২০১৮ উল্লেখযোগ্য। বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। শিল্পী-সাহিত্যিকদের শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুকন্যাও সংস্কৃতিমনা হিসেবে দেশীয় সংস্কৃতির উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখছেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ‘কালচারাল ডিভারসিটি’ পদকে ভূষিত করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আলোকিত মুখ। আমরা গর্বিত, আমাদের এমন একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯





Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews